শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪০ অপরাহ্ন

আরেক মামলায় জামিন পেলেই কারামুক্ত হতে পারবেন সম্রাট

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১১ এপ্রিল, ২০২২
  • ২৯৩ বার

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট আরেক মামলায় জামিন পেলেই কারামুক্ত হতে পারবেন। আজ সোমবারও তিনি মাদক আইনের মামলায় জামিন পেয়েছেন। এদিন ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার এ জামিন মঞ্জুর করেন।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী জানান, সম্রাটের বিরুদ্ধে মোট চারটি মামলা রয়েছে। তিনটি মামলায় জামিন মঞ্জুর হয়েছে। এখন আর একটি মামলায় জামিন হলেই তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন।

আগামীকাল মঙ্গলবার দুদকের সম্পদ বিবরণীর সে মামলায় জামিন আবেদনের শুনানি হবে বলেও জানান এই সিনিয়র আইনজীবী।

এর আগে গত রোববার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন মানিলন্ডারিং মামলায় রিমান্ড আবেদন নাকচ করে এ জামিন আদেশ দেন। অন্যদিকে একইদিন অস্ত্র আইনের মামলায় ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সাল আতিক বিন কাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

মানিলন্ডারিং মামলায় বলা হয়, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন ও কাকরাইল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছেন। তার উপার্জিত অবৈধ অর্থের মধ্যে ১৯৫ কোটি টাকা তিনি তার সহযোগী আসামি আরমানের সহায়তায় সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া পাচার করেছেন। ওই ঘটনায় ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

অস্ত্র মামলায় বলা হয়, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে আটক করা হয়। আটকের সময় আরমান মাদকাসক্ত অবস্থায় থাকায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে কারাগারে পাঠানো হয়।

সম্রাটকে জিজ্ঞাসাবাদে জানান, ঢাকার কাকরাইল তার রাজনৈতিক অফিসে আনেক মাদকদ্রব্য ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র মজুদ রয়েছে। এরপর তাকে নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে ওই অফিসে অভিযানের সময় ৪র্থ তলায় তল্লাশি করা হয়। ওই ফ্ল্যাটের উত্তর দিকের পশ্চিম পাশের বেড রুমের বিছানার মাথার পাশে জাজিমের তোষকের নীচ থেকে একটি লেখা বিহীন ৭.৬৫ বিদেশী পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন আনুমানিক সাড়ে চার ইঞ্চি লম্বা, ৫ রাউন্ড তাজা গুলি , রুম থেকে ২টি ইলেকট্রিক মেশিন ও ২টি লাঠি উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে আসামি উদ্ধার করা আগ্নেয়াস্ত্রের কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তদন্তেও লাইসেন্সবিহীন অস্ত্র নিজ হেফাজতে এবং নিয়ন্ত্রণে রাখায় অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

ওই ঘটনায় ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর র‌্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন। অস্ত্র মামলাটি চার্জশিট দাখিল হওয়ার পর বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। আর মানিলন্ডারিং আইনের মামলা বর্তমানে তদন্তাধীন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com