চীনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে ১৭০ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হুবেই প্রদেশেই ৩৭ জনের প্রাণহানীর খবর পাওয়া গেছে।
দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এই ভাইরাসে প্রাণহানীর পাশাপাশি আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েছে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে আরও ১ হাজার ৩২ জন। এর ফলে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৭১১ জনে।
চীনের এমন দুর্যোগ পরিস্থিতিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাসচিব টেড্রস অ্যাধানম ঘেরবাইয়েসুস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে চীনের এ পরিস্থিতিকে জরুরি অবস্থা হিসেবে অবিহিত করেছে। এটিকে বৈশ্বিক স্বাস্থ্যের জন্য উচ্চ ঝুঁকি হিসেবেও ঘোষণা করা হয়েছে।
এ ছাড়া করোনাভাইসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সব দেশের সরকারকে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ভ্রমণ ও চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে চীন। যে উহান শহর থেকে এ ভাইরাসটির উৎপত্তি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে সেই শহরটি কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বর উহানে এই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এরপর চীনের সীমানা পেরিয়ে এই ভাইরাস রাজধানী বেইজিং, সাংহাই, ম্যাকাও ও হংকংয়ের বাইরে বিশ্বের ১৯টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ পর্যন্ত চীন, থাইল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, হংকং, সিঙ্গাপুর, ভারত, মালয়েশিয়া, নেপাল, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং তাইওয়ানে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।