রাজশাহী বিভাগের আট জেলা থেকে ৫০ হাজারের মতো মোটরসাইকেলে রাজশাহীর বিভাগীয় সমাবেশে এসেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
এদিন সন্ধ্যায় মোটরসাইকেল বহরগুলো সমাবেশস্থল মাদরাসা মাঠের কাছে উপস্থিত হলে আশপাশের রাস্তাগুলোতে যানজটের সৃষ্টি হয়।
মোটরসাইকেল বহরে থাকা বগুড়া জেলার আদমদীঘি থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক রতন নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘রাস্তার প্রতিটি স্থানে আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশ সমাবেশে আসার পথে বাধার সৃষ্টি করে। তাই আমরা তাদের সেই বাধা মোকাবেলা করার উদ্দেশ্যে বগুড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে একত্রিত হয়ে ৮ হাজারের অধিক মোটরসাইকেল নিয়ে সমাবেশে এসেছি। আমরা আজকে ভয়কে জয় করেছি। আমরা প্রতিরোধের শপথ নিয়েছি। আমরা জীবন দিয়ে হলেও গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনবো, দেশনেত্রীকে মুক্ত করবো।’
মোটরসাইকেল বহরে থাকা নওগাঁ জেলা বিএনপির নেতা মো: সবুজ নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘আমরা এই সরকারের রক্তচক্ষুকে বিন্দু পরিমাণ আর ভয় পাই না। আমরা গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে নেমেছি। বেগম জিয়াকে মুক্ত করার মাধ্যমে আমরা ঘরে ফিরবো।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সকল বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে আজ এখানে এসেছি। আমাদের সামনে দাঁড়ানোর মতো কেউ সাহস করেনি। আমরা ১০ তারিখের ঢাকার সমাবেশেও এভাবে যাবো। যেখানে বাধা এলে প্রতিরোধ করবো।’
নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলা যুবদল সভাপতি হারুন নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘আমরা যুবদলের উদ্যোগে ২ হাজারের বেশি মোটরসাইকেল নিয়ে এসেছি। ১০ তারিখ ঢাকার বিভাগীয় সমাবেশে ৫ হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে যাবো। সকল বাধা চুরমার করে ১০ তারিখ আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করে সমাবেশে নিয়ে আসবো।’
এ সময় সমাবেশে আসা লোকজন বিভিন্ন স্লোগান দেন।
নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে নেতাকর্মীদের মৃত্যুর প্রতিবাদ এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দেশের প্রত্যেক বিভাগে গণসমাবেশ করছে বিএনপি।
চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট, কুমিল্লার পর আগামীকাল ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে গণসমাবেশ করবে দলটি। রাজশাহীর মাদরাসা মাঠে সমাবেশের আয়োজন চলছে। এটি বিএনপির নবম বিভাগীয় গণসমাবেশ। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।