রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র বন্দী বিনিময়ে মার্কিন বাস্কেটবল তারকা ব্রিটনি গ্রিনারের মুক্তিতে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ‘ব্যক্তিগত মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা’ বাড়িয়েছিলেন বলে দাবি করেছে সৌদি আরব। তবে রিয়াদের এই দাবি অস্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ রিয়াদে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি বাস্কেটবল খেলোয়াড়ের মুক্তিতে মহামান্য যুবরাজের প্রচেষ্টা এবং ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ সম্পর্কে অবগত আছি।’
‘তবে অন্যরা কী বলছে, এই ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করব না।’
এদিকে ওয়াশিংটন সৌদি আরব বা সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মধ্যস্থতা অস্বীকার করেছে। দেশটি বলেছে যে আমিরাতের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ এবং সৌদি যুবরাজ সালমানের মধ্যস্থতা প্রচেষ্টার নেতৃত্বে সৌদি-ইউএই’র যৌথ বিবৃতির পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে আলোচনা হয়েছিল। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে ২৫ বছর কারা ভোগের পর রাশিয়ার নাগরিক কুখ্যাত অস্ত্র ব্যবসায়ী ভিক্টর বোটের বিনিময়ে গ্রিনারকে মুক্তি দেয়া হয়েছিল। ৫৫ বছর বয়সী বোট বিশ্বের অন্যতম মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী ছিলেন। তিনি আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী এবং যুদ্ধবাজদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করতেন। ২০১২ সালে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবির একটি বিমানবন্দরে গ্রিনার এবং বোটের বিনিময় হয়েছিল।
সূত্র : মিডল ইস্ট আই