হলফ করেই বলে ফেলা যায় কাতার বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় বা গোল্ডেন বল জিততে যাচ্ছেন লিওনেল মেসি। তবে এখন তার সামনে সুবর্ণ সুযোগ গোল্ডেন বুটও জেতার। এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তার গায়ে গায়ে আছেন ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপ্পে। দু’জনেরই পাঁচটি করে গোল।
বিশ্বকাপে ১১ গোল করে মেসি এখন জার্মানীর ইয়ুর্গান ক্লিন্সম্যানের সমকক্ষ হয়েছেন। আজ একটি গোল করলে তিনি ছুঁয়ে ফেলবেন ব্রাজিলের পেলের করা ১২ গোল। তবে মেসি এবং এমবাপ্পের মধ্যেই যে লড়াই তা নয়। ৪টি করে গোল দিয়ে তাদের ঘাড়ে গরম নিঃশ্বাস ফেলছেন আর্জেন্টিনার জুলিয়ান আলভারেজ ও ফ্রান্সের অলিভার জিরুড।
ফাইনালে মেসি এবং এমবাপ্পে যদি গোল না পান এবং আলভারেজ ও জিরুড একটি করে গোলের দেখা পেলে ফিফাকে চার জোড়া গোল্ডেন বুট দিতে হবে পুরস্কার হিসেবে। যেমনটা ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে ফিফাকে করতে হয়েছিল। সেবার উরুগুয়ের দিয়েগো ফোরলান, নেদারল্যান্ডসের ওয়েলসি স্নাইডার, স্পেনের ডেভিড ভিয়া এবং জার্মানীর থমাস মুলার ৫বার করে বল জালে পাঠিয়েছিলেন।
১৯৯৪ এ যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত আসরে বুলগেরিয়ার রিস্টো স্টইচকভ এবং ওলেগ সালেঙ্কো যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন। উভয়েই ৫টি করে গোল ছিল সেবার।
আর ১৯৬২ সালের চিলি বিশ্বকাপে ছয় ফুটবলার এক সাথে গোল্ডেন বুটে ভাগ বসান। এরা হলেন ব্রাজিলের গারিঞ্চা, ভাভা, চিলির লিওনেল সানচেজ, হাঙ্গেরির ফ্লোরিয়ান আলবার্ট, সোভিয়েত ইউনিয়নের ভ্যালেন্তিন ইভানভ ও যুগোশ্লাভিয়ার ড্রাজান জারকোভিচ। প্রত্যেকেরই গোল ছিল ৪টি করে।
বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলটা ৬ এর মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে। গত ১১টি বিশ্বকাপের আটটিতেই সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার হয়েছিল ৬টি গোল করে। তা সেই ১৯৭৮ সাল থেকে। রোনালদো নাজারিও ২০০২ সালে ৮ গোল করার আগে ১৯৭৪ সালে জার্মানীর গার্জেগোজ লাতো ৭ গোল করে গোল্ডেন বুট জয় করেন।
তবে এক আসরে করা ফ্রান্সের জাস্ট ফন্টেইনের ১৩ গোলের রেকর্ড কেউ ভঙ্গ করতে পারেনি। ১৯৫৮ সালের সুইডেন বিশ্বকাপে তিনি এই গোলগুলোর মালিক। ১১ গোল করে এরপরেই আছেন হাঙ্গেরির সানদর ককচিস। ১৯৫৪ এর সুইজারল্যান্ড বিশ্বকাপে তার এই অর্জন। গোল সংখ্যা ডাবল ডিজিট আর একবারই স্পর্শ করা গেছে। তা ১৯৭০ সালের মেক্সিকো বিশ্বকাপে। সেবার পশ্চিম জার্মানীর গার্ড মুলার ১১ গোল করেন।