কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে রোববার ফ্রান্সের বিরুদ্ধে টাইব্রেকারে জয়ী হয়ে আর্জেন্টিনার শিরোপা জয়ের পিছনে মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করেছেন কোচ লিওনেল স্কালোনি। বিশ্বকাপ জয়ের পর এখন প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করতে খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ ও সমর্থকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন আর্জেন্টাইন কোচ।
দোহায় বিশ্বকাপের অফিসিয়াল মিডিয়া চ্যানেলে স্কালোনি বলেন, ‘এই মুহূর্তটা শুধুই উপভোগের, বিশেষ করে সমর্থকদের। অনেক দিন থেকেই আমরা নানা চড়াই উৎরাই পার করে আজকের দিনটি পেয়েছি। দিনটি মোটেই সহজ কাটেনি। আমরা অনেক ম্যাচেই এই ধরনের পরিস্থিতিতে পড়েছি। সেগুলোতে কখনো হয়তো ব্যর্থ হয়েছি।’
ফাইনালে প্রথমার্ধ পর্যন্ত আর্জেন্টিনা ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল। হঠাৎ করেই কিলিয়ান এমবাপ্পে জোড়া গোলে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারনের জন্য অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন হয়। সেখানে দুই দল একটি করে গোল দিলে শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়। মেসির জোড়া গোল ও এ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার গোলে বারবার জয়ের দ্বারপ্রান্তে গিয়েও হতাশ হতে হয়েছে আর্জেন্টিনাকে। কিলিয়ান এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে ফ্রান্স নাটকীয়ভাবে দুইবার ম্যাচে ফিরে এসেছে।
টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ কিংসলে কোম্যানের শট রুখে দেন। এরপর গঞ্জালো মনটিয়েলের গোলে তৃতীয়বারের মত ও ১৯৮৬ সালে দিয়েগো ম্যারাডোনার নেতৃত্বে শিরোপা জয়ের পর প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তোলে মেসির আর্জেন্টিনা।
গত বছর আর্জেন্টিনাকে কোপা আমেরিকার শিরোপা উপহার দেয়া ৪৪ বছর বয়সী স্কালোনি বলেছেন, ‘আজ যা ঘটেছে তা সত্যিই অসাধারণ। ফ্রান্স বারবার ম্যাচে ফিরে এসেছে, এজন্য তারা অবশ্যই প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। সব মিলিয়ে এটা অসাধারণ একটি মুহূর্ত যা সবাইকে উপভোগ করতে হবে। এমন মুহূর্ত জীবনে বারবার আসে না।’
স্কালোনি এই জয় তার বাবা-মাকে উৎসর্গ করে বলেছেন, ‘তারা আমাকে জীবনের পথে সবকিছুর সাথে মানিয়ে নেয়ার পথ দেখিয়েছেন। কখনই যেন পিছনে ফিরে না তাকাই এবং কখনই কারো প্রতি কোনো অন্যায় আচরণ না করি। সবসময়ই যেন সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজি। আজকের দিনটা শুধুমাত্র তাদের জন্য।’
সবশেষে স্কালোনি বলেন, ‘এখানে আসতে পারাটা আমার জন্য সৌভাগ্যের এবং এজন্য আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’