মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৩ অপরাহ্ন

জ্যামাইকায় চালু হলো ‘হিলসাইড টিউটোরিং’

বাংলাদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৮৪ বার

জ্যামাইকাসহ এর আশপাশে, বিশেষ করে কুইন্স এলাকার স্টুডেন্টদের জন্য চালু করা হলো হিলসাইড টিউটোরিং সেন্টার। সেখানে স্কুলের বিভিন্ন ক্লাসের স্টুডেন্টসহ হাইস্কুল স্টুডেন্টরা পর্যন্ত পড়ালেখায় সহায়তার জন্য বিভিন্ন ধরনের সুবিধা নিতে পারবে। বাংলাদেশি তরুণ ইকবাল মাহমুদের উদ্যোগে এটি চালু হয়েছে। এটি চালু করার পেছনেও রয়েছে এক স্বপ্নের গল্প। সেই গল্প তিনি শুনিয়েছেন ২৮ জানুয়ারি শনিবার সেন্টারটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। পাশাপাশি কেন এবং কী উদ্দেশ্যে এটি করেছেন, তাও বলেছেন। ওইদিন সন্ধ্যায় হিলসাইড টিউটোরিংয়ের জ্যামাইকা কেন্দ্রে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কমিউনিটির ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন ক্লাসের স্টুডেন্ট ও তাদের অভিভাবকেরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া সেখানকার টিউটররা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে ইকবাল মাহমুদ জানান, হিলসাইড টিউটোরিংয়ের ভিশন হচ্ছে আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য ভালো একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দেওয়া, যাতে তারা চলার পথে ও শিক্ষাজীবনে যেকোনো ধরনের একাডেমিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়। আমাদের উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের একটি পজিটিভ শিক্ষণীয় পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া। তাদের একাডেমিক ক্যারিয়ার সামনে এগিয়ে নেওয়াও আমাদের লক্ষ্য।

আমরা কলেজে ভর্তির জন্য স্যাট, বিশেষায়িত হাইস্কুলে ভর্তির জন্য এসএইচএসএটি, স্টেট এক্সাম, কমন কোরসহ আরো অনেক বিষয়ে গাইড করি, যাতে স্টুডেন্টরা এসব পরীক্ষায় ভালো করতে পারে। আমরা অভিভাবকদের উদ্দেশে বলব, আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ আমাদের দায়িত্ব। আর তাদের একাডেমিক ক্যারিয়ার এক ধাপ সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।
অন্যান্য টিউটোরিংয়ের সঙ্গে আমাদের বেশ কিছু পার্থক্য আছে। আমরা প্রতিটি ক্লাসে মিনিমাম ছাত্র রাখব, যাতে আমাদের টিচাররা বেশি অ্যাটেনশন দিতে পারেন একজন স্টুডেন্টের ওপর। আমাদের ছয় রুমবিশিষ্ট হিলসাইড টিউটোরিংয়ের আধুনিক পরিবেশসহ সুশিক্ষার সব ব্যবস্থা আছে। বিরতির সময় যাতে তারা ভালো সময় কাটাতে পারে, অন্য স্টুডেন্টদের সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়াতে পারে, আরও সামাজিক হয়, সে জন্য এডুকেশনাল অ্যাক্টিভিটিস রয়েছে, গেম রুমের ব্যবস্থা আছে। অভিভাবকেরা নিজ নিজ সন্তানের তথ্য জানতে পারবেন। সেন্টারের ক্লাসের তথ্য দেওয়ার জন্য দুই সপ্তাহ পরপর আমাদের টিউটর অ্যাডমিনের সঙ্গে বাবা-মায়ের মিটিং হবে। বাবা-মা ঘরে বসেই প্যারেন্ট পোর্টাল লগইন করে সব তথ্যের আপ টু ডেট থাকতে পারবেন।
হিলসাইড টিউটোরিংয়ের সিইও ইকবাল মাহমুদ বলেন, আমাদের টিউটররা হাইলি কোয়ালিফাইড। তাদেরকে পরীক্ষা ও ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে বাছাই করা হয়েছে। তারা স্পেশালাইজড হাইস্কুল থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেছেন। সবাই এখন ভালো কলেজে অধ্যয়নরত। তারা টিউটোরিংয়ে পারদর্শী আর অভিজ্ঞ।
তিনি আরো বলেন, আমরা যাতে সব বাবা-মায়ের সামর্থ্যরে মধ্য থেকে ভালো সার্ভিস দিতে পারি, সেটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। এ জন্য সবকিছু অভিভাবকদের বাজেট অনুযায়ী করা হয়েছে। আমাদের সার্ভিস সব পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে। শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
তিনি জানান, স্টুডেন্টরা ভালো লেখাপড়া করছে, ভালো ফলাফল করছে কিন্তু টিউটোরিং সেন্টারে দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত অর্থ তাদের নেই, সেই মেধাবী স্টুডেন্টদের স্কলারশিপ দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আমরা স্টুডেন্টদের সহায়তা করতে চাই। আমরা চাই ভালো ফলাফল করে, ভালো স্কোর নিয়ে, ভালো কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন তারা পড়ার সুযোগ পায়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com