হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দিওয়ালীর দিনে স্কুল ছুটি ঘোষণা করতে নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলীতে বিল উপস্থাপন করা হয়েছে। গত ২৪ জানুয়ারী মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় স্টেট অ্যাসেম্বলীতে স্পিকারের কাছে এ-৬২৮ বিলটি উপস্থাপন করেন নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলী মেম্বার জেনিফার রাজকুমার। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রত্যাশা, বিলটি অচিরেই পাস হবে এবং দিওয়ালি পাবলিক স্কুল হলি ডে হিসাবে গণ্য হবে। জানা যায়, জেনিফার রাজকুমার বিলটি উপস্থাপন করার সময় নিউইয়র্কের হিন্দুদের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় সবাই করতালি ও দিওয়ালী ছুটির দিন বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত করে রাখেন অ্যাসেম্বলি হল। পরে স্পিকার হিন্দুদের আলবানীতে আসার জন্য ধন্যবাদ জানান। খবর ইউএনএ’র
বিলটি উত্থাপনের দিন ক্যাপিটাল হলে উপস্থিত হিন্দু কমিউনিটির সমাবেশে আইন প্রণেতাদের মধ্যে স্টেট সিনেটর লিরয় কমরি ও জন ল্যু, অ্যাসেম্বলি মেম্বার ডেভিড ওয়েপ্রীন, জেনিফার রাজকুমার, ক্যাটেলিনা ক্রুজ, এড ব্রাউনস্টেইন, খলিল অ্যান্ডারসন, স্টিভেন রাগা, ড. নীতা জৈন, ডা. শেট্টল দেশাই, রোমিও হিটলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে অংশগ্রহনকারীরা তাদের দাবী-দাওয়া সম্বলিত বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন ও প্লেকার্ড বহন করে। অ্যাসেম্বলী মেম্বার জেনিফার রাজকুমার বিলটি সম্পর্কে বলেন, আমি বিশ্বাস করি বিলটি শিগগিরই পাস হবে এবং পরবর্তী স্কুল ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভূক্ত হবে। স্টেট সিনেটর লিরয় কমরি বলেন, এটা স্বীকার করতেই হবে যে, হিন্দু, জৈন এবং শিখ সম্প্রদায় আমাদের রাজ্যে অনেক অবদান রাখে। আমি এস.২৪০১ স্পনসর করতে পেরে গর্বিত। যা দিওয়ারীকে সম্পূর্ণরূপে নিউইয়র্ক রাজ্যে সরকারি ছুটি ঘোষণা করবে।
নিউ আমেরিকান ভোটার অ্যাসোসিয়েশনের (নাভা) সভাপতি ড. দিলীপ নাথ বলেন, এটা স্মরণীয় যে নিউইয়র্ক শহরের স্কুলগুলোতে দিওয়ালী দাপ্তরিক ছুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। নিউইয়র্কের ৩০ লাখ বাসিন্দা তাদের সন্তানদের বাধ্যতামূলকভাবে দিওয়ালীর দিন স্কুলে পাঠানোর পরিবর্তে পরিবারের সঙ্গে এটি উদযাপন করতে পারবে। অ্যাসেম্বলী মেম্বার ডেভিড ওয়েপ্রিন বলেন, দিওয়ালী পাবলিক স্কুল ছুটি হিসেবে স্বীকৃতি দিতে আনা এই বিলের সহ-প্রধান পৃষ্ঠপোষক হতে পেরে আমি আনন্দিত। উল্লেখ্য, ‘দিওয়ালীর দিনে স্কুল ছুটি’ সংক্রান্ত বিলটিকে নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস এবং নিউইয়র্ক সিটি পাবলিক স্কুলের চ্যান্সেলর বিশেষভাবে সমর্থন দেন। হিন্দু কমিউনিটির এই দাবীর প্রতি সমর্থন জানিয়ে অ্যাসেম্বলী মেম্বার জেনিফার রাজকুমার দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছিলেন।