বাঘের সিংহের লড়াই আজ। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড দলের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। প্রায় সাত বছর পর দ্বিপক্ষীয় সিরিজে থ্রি লায়ন্সদের বিপক্ষে খেলতে নামছে টাইগাররা। শের-ই-বাংলায় লড়াই শুরু বেলা ১২টায়।
দেশের মাটিতে বরাবরই সফল বাংলাদেশ। আর ফরম্যাট যখন ওয়ানডে, তখন যেকোনো দলের বিপক্ষে ফেভারিটও বলা যায় টাইগারদের। ২০১৪ সালের পর দেশের মাটিতে ১৬টি ওয়ানডে সিরিজ খেলে ১৫টি সিরিজেই জয় পেয়েছে টাইগাররা। হারিয়েছে ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকাকেও।
বিপরীতে ইংল্যান্ড দলেরও অবশ্য খুশি হবার কারণ আছে। যেই একটা সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ গত সাত বছরে, তা ছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই, ২০১৬ সালে। তাছাড়া দলটা এখন ক্রিকেটের উভয় ফরম্যাটের চ্যাম্পিয়ন দল। দলে আছে একাই ম্যাচ পাল্টে দেয়া অনেক ক্রিকেটার।
দুই দল এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে ২১ বার। যেখানে চার জয়ের বাংলাদেশের রয়েছে ১৭ হার। এখন পর্যন্ত ইংল্যান্ডকে কোনো সিরিজে পরাজিত করতে পারেনি টাইগাররা, তাই প্রথমবারের মতো থ্রি লায়ন্সদের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের সুযোগ বাংলাদেশের সম্মুখে। যেখানে বড় ভূমিকা রাখতে পারেন সাকিব আল হাসান।
প্রথমত দেশের মাটিতে খেলা, দ্বিতীয়ত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিবের পরিসংখ্যান; এই সব কিছুই আশা দেখায় বাংলাদেশকে, বাংলাদেশের মানুষকে। ব্যাটে- বলে এই অলরাউন্ডার কাঁপিয়ে দিতে পারেন ইংল্যান্ডকে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডেতেও সেঞ্চুরি আছে তার ব্যাটে। যদিও দুই দলের দেখায় রান সংগ্রাহকের সেরাদের তালিকায় নেই সাকিব, তবুও নামটা যখন সাকিব তখন ভরসা তো রাখতেই হবে তার উপর।
ওয়ানডেতে দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রসের। বাঁহাতি ওপেনার মাত্র আট ম্যাচে ৬১০ রান করেন, গড় ৮৭.১৪। যেখানে স্ট্রস এই তিনটি অর্ধশতকের সাথে হাঁকিয়েছেন দুটো শতক; সর্বোচ্চ রান ১৫৪। তাছাড়া বাংলাদেশীদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৮৮ রান করেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমের আছে ৪৮৫ রান ও সাকিবের সংগ্রহে আছে ৩৯৯ রান।
উইকেট শিকারীর তালিকায় অবশ্য সবার উপরে বাংলাদেশ। মাশরাফী বিন মর্তুজার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪টি ওয়ানডে খেলে শিকার করেছেন ১৭টি উইকেট রয়েছে, যা দুই দলের খেলোয়াড়দের মাঝে সর্বোচ্চ। তাছাড়া দ্বিতীয় স্থানে আছেন সাকিব আল হাসান, তিনি শিকার করেন ১৪ উইকেট। আর সাবেক ইংলিশ অলরাউন্ডার অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ ১২ উইকেট নিয়ে এই তালিকার শীর্ষ তিনে রয়েছেন।