সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় সুন্দরবন সংলগ্ন রমজাননগর ইউনিয়নের কালিঞ্চি এলাকায় টর্নেডো আঘাত হেনেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ করে এই টর্নেডো আঘাত হানে, যার স্থায়িত্ব ছিল মাত্র এক মিনিট। তবে এঘটনায় হতাহতের কোনো তথ্য এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
টর্নেডোর আঘাতে শ্যামনগরের সুন্দরবন সংলগ্ন কালিঞ্চির মধ্যপাড়া, কলোনিপাড়া, গেটপাড়া ও গোলাখালীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অসংখ্য গাছ উপড়ে পড়েছে। ১৫টিরও বেশি বাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙ্গে গেছে, ৩০টিরও বেশি বাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় কালিন্দী নদীতে ভেসে যাওয়া দুই ব্যক্তিকে নৌ-পুলিশ ও বিএসএফ সদস্যদের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ৯ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আজগার আলী।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ করে কালিঞ্চি ও গোলাখালী এলাকায় টর্নেডো আঘাত করে। এসময় ওই এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এছাড়া অসংখ্য গাছ উপড়ে রাস্তার উপর পড়ে। বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভেঙ্গে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরো অনেক বাড়ি। এতে কলোনিপাড়ার বৃদ্ধা রহিমা বেগম, খোকন এবং মধ্যপাড়ার আজগর আলী বুলু, রেজাউল, অবনী ও ভুপেন মন্ডলসহ ১৫ জনের বাড়িঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। টর্নেডোর পরপরই ওই এলাকায় প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুর্ভোগ আরো বেড়ে যায়।
রমজাননগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আল মামুন জানান, টর্নেডোর আঘাতে প্রায় ৪৫টি বাড়িঘর বিধ্বস্ত হলেও কেউ হতাহত হয়নি। হঠাৎ টর্নেডো আঘাতে ১৫টির মত বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরো বেশ কিছু ঘরবাড়ি। ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনের কাজ চলছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: আকতার হোসেন বলেন, প্রবল বৃষ্টির কারণে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। বিকেলের মধ্যে তার তালিকা পাওয়া যাবে। তবে টর্নেডোর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তরা নিরাপদে রয়েছেন