বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সিকে পছন্দ করেন বিএনপির সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ব্যরিষ্টার রুমিন ফারহানা। এমন অভিব্যক্তি জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রীকে আয়নায় নিজের চেহারা দেখার আহবান জানান রুমিন ফারহানা। এ নিয়ে মঙ্গলবার সংসদে ব্যাপক হাস্যরসের সৃষ্টি হয়। সংসদ সদস্যরা টেবিল চাপড়ে এতে অংশ নেন। জবাব দিতে দিতে দাড়িয়ে বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, আমার যা রং, চেহারাও আমার সুবিধার না। সেটা আমি খুব ভাল করেই জানি।
বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকে কোম্পানি (সংশোধন) আইন-২০২০ পাসের সময় আনিত জনমত যাচাই-বাছাই ও সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে এ ঘটনা ঘটে।
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রীকে ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব পছন্দ করি। এই কথা বলা মাত্র সংসদ সদস্যরা টেবিল চাপড়ে হাসতে থাকেন। এ সময় বক্তব্য থামিয়ে হেসে ওঠেন রুমিন ফারহানাও।
এরপরই রুমিন ফারহানা বলেন, ওনি চমৎকার কথা বলেছেন। টাকা পাচার নিয়ে ওনি একটা কথা বলেছেন, মুশকিল হল যতক্ষণ অপরের দিকে তাকিয়ে থাকব, ততক্ষণ পর্যন্ত আয়নায় নিজের মুখ দেখব না, এটাই স্বাভাবিক। বাণিজ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করব ওনি যদি একটু আয়নার দিকে তাকান এবং গ্লোবাল ফাইনান্স ইউকিউটি রিপোর্ট দেখেন তাহলে স্পষ্ট হয়ে যাবে টাকা পাচারের বিষয়টা কি?
জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, আমাকে আয়নায় চেহারা দেখতে বলেছেন। আমার যা রং, চেহারাও আমার সুবিধার না। সেটা আমি খুব ভাল করেই জানি। টাকা পাচারের ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত সচেতন।
কচুরিপানা ও কচুর লতি খাওয়া : এদিকে কচুরিপানা খাওয়া নিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রীর সমালোচনা করে কথা বলেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ। এর জবাবে বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, আজ থেকে ৪০-৪৫ বা ৫০ বছর পূর্বে তখন ঢাকাতে কেউ কচুরলতি খেত না। কিন্তু আজকে কচুরলতি একটা খুব সুস্বাদু এবং প্রয়োজনীয় তরকারি হিসাবে চালু হয়েছে।
তিনি বলেন,আমরা চা খাই চা পাতা দিয়ে। নতুন কনসেপ্ট এসেছে পাটের পাতা থেকে চা পাতার মতো এক ধরনের ড্রিংকস তৈরি হচ্ছে । হয়তো একথা আগে বললে বলা হত এটা আবার কেমন কথা, দিন তো বদলাচ্ছে প্রতিদিন নতুন নতুন চিন্তা নতুন নতুন উদ্ভাবনী শক্তি আসছে। আগে মাশরুম দেখলে বলা হতো হারাম খাবার ব্যাঙের ছাতা। হয়তো এমন দিন আসবে কচুরিপানা থেকে খাবার বের হবে যার ভ্যালু অনেক খানি ভালো। অপেক্ষা করি তার জন্য। নেক্সট ওয়েট ফর দ্যাট।