পদ্মা সেতুর রেললাইনের ৭ মিটার কংক্রিট ঢালাই সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে সেতুর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার পাথর বিহীন রেলপথ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৪ এপ্রিল সেতুর ওপর দিয়ে পরীক্ষামূলক রেল চালোনোর কথা রয়েছে।
বুধবার বিকেলে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। এরআগে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে রেললাইনে শেষ স্লিপার বসানো হয়।
এদিকে, প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী মো: সাদমান শাহরিয়ার জানান, পদ্মা সেতু রেললিংক প্রকল্পটিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ভাগগুলো হচ্ছে-ঢাকা থেকে মাওয়া, মাওয়া থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও ভাঙ্গা থেকে যশোর। পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের মাওয়া স্টেশন থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত দূরত্ব রেল পথে ৪২ কিলোমিটার। এরমধ্যে পদ্মা সেতুতে রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার।
সূত্র জানায়, পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে মাওয়া স্টেশন পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার রেলপথে পরীক্ষামূলক রেল চালানো হবে আগামী ৪ এপ্রিল। পদ্মা সেতুর রেললিংক প্রকল্পের অধীনে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পটির ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান চীনের চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (সিআরইসি)।
সেতুতে রেলপথের একটি স্লিপার বসানো বাকি ছিল। বাকি স্লিপারটি গতকাল মঙ্গলবার চীন থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছানোর পর সন্ধ্যায় স্লিপারটি প্রকল্প এলাকায় আনা হয়। রাতে ওই স্লিপারটি সেতুর রেলপথে বসানো হয়। সেতুতে স্লিপারটি বসানোর পর ৭ মিটার কংক্রিটের ঢালাই কাজ বাকি রাখা হয়েছিল। সেটিই সম্পন্ন হলো আজ।
পদ্মা সেতুর রেললিংক প্রকল্পের মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার সাঈদ আহম্মেদ বলেন, আজ সেতুতে রেললাইন নির্মাণ কাজের সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে। সেতুর রেললাইন নির্মাণ সমাপ্তির মধ্য দিয়ে নতুন মাইলফলক সৃষ্টি হবে। সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমরা এ মাইলফলক অর্জন করতে পেরেছি। রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন আগামী ৪ এপ্রিল সময় নির্ধারণ করেছেন। তার উপস্থিতিতে ভাঙ্গা স্টেশন থেকে পরীক্ষামূলক রেল নিয়ে পদ্মা সেতু পেরিয়ে আমরা মাওয়া স্টেশনে যাবো। ৪ এপ্রিল রেল নিয়ে পদ্মা সেতু পার হওয়া আমাদের আরেকটি মাইলফলক হবে।