পুরো দিন বল করেও চারটির বেশি উইকেট তুলতে পারল না টাইগাররা। আগের দিন শেষ বিকেলে মাত্র ১৩ রানে চার উইকেট হারানো আইরিশরা বৃহস্পতিবার সারাদিনে হারিয়েছে মোটে ৪ উইকেট, যোগ করেছে ২৫৯ রান। সব মিলিয়ে ৮ উইকেটে ২৮৬ রান তুলেছে আয়ারল্যান্ড, লিড নিয়েছে ১৩১ রানের। ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট শতক তুলে নিয়েছেন লরকান টাকার। হাতে আছে এখনো ২ উইকেট।
আজ আয়ারল্যান্ডের অলআউট হওয়া শুধু ছিল সময়ের অপেক্ষা। এমনকি তৃতীয় দিনেই ম্যাচের নিষ্পত্তি দেখে ফেলেছিলেন অনেকে, বলা হচ্ছিল আয়ারল্যান্ড ভাঙতে পারবেনা টাইগারদের দেয়া ১৫৫ রানের লিডও। তবে সব হিসাব পাল্টে গেছে, আইরিশরা আজ চমকে দিয়েছে। ক্রিকেটকে চির অনিশ্চয়তার খেলা হয়ত এইজন্যই বলে।
লিড ভাঙতে না হলে ম্যাচ পরিপূর্ণভাবেই থাকত আয়ারল্যান্ডের দখলে। যদিও আজ টাইগারদের ধৈর্যের কঠিন পরীক্ষাই নিয়েছে আইরিশরা। মাটি কামড়ানো মন্থর ব্যাটিংয়ে সারাদিন কাটিয়েছে তারা। যদিও শরিফুল ইসলাম ৭৮ বলে ১৬ রান করা পিটার মুরকে ফেরালে দিনের প্রথম সাফল্য আসে।
দিনের দ্বিতীয় ও আয়ারল্যান্ডের ষষ্ঠ উইকেটের দেখা পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২৪ ওভার। তাইজুল ইসলাম হ্যারি টেক্টরকে ফিরিয়ে ভাঙেন লরকান টাকারের সাথে তার ৭২ রানের জুটি। তবে ততক্ষণে টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অর্ধশতক পেয়ে গেছেন তিনি। অর্ধশতক পেয়েছিলেন প্রথম ইনিংসেও। দুই ইনিংসে ফিফটি পেলেও বড় হয়নি ব্যক্তিগত ইনিংস। আজ ফিরেছেন ৫৬ রান করে।
এরপর লরকান টাকারকে এবাদত হোসেন ফেরালে তৃতীয় দিনে তৃতীয় উইকেটের দেখা পায় টাইগাররা। তবে ১৬২ বলে ১০৮ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। আয়ারল্যান্ডের টেস্ট ইতিহাসে যা দ্বিতীয় শতক। শুধু নিজেই শতক করেননি, গড়েছেন শতাধিক রানের জুটি। দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন ম্যাকবির্নি। দুজনের জুটিতে এসেছে ১৭১ বলে ১১১ রান।
এই জুটিতেই বাংলাদেশের দেয়া ১৫৫ রানের লিড ভেঙে দেয় আয়ারল্যান্ড। এখানেও থামেনি আইরিশরা, আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে মার্ক অ্যাডায়ারও সঙ্গ দেন ম্যাকবির্নিকে। ৮৪ বল থেকে ৩১ রান আনেন দু’জনে। ৪৯ বলে ১৩ রান করে আউট হন মার্ক। বাকি সময়টা গ্রাহাম হোমকে সাথে নিয়ে কাটিয়ে দিয়েছেন ম্যাকবির্নি। ৫১ বলে অপরাজিত ২১ রান এসেছে জুটিতে। ম্যাকবির্নি অপরাজিত আছেন ১৪৪ বল থেকে ৭১ রান করে।
বল হাতে দিনের সফল বোলার তাইজুল ইসলাম। গতকালের ২ উইকেটের সাথে আজ আরো ২ উইকেট পেয়েছেন তিনি। আর ১ উইকেট করে নিয়েছেন এবাদত হোসেন ও শরিফুল ইসলাম। গতকাল ২ উইকেট নিলেও আজ কোনো উইকেট পাননি সাকিব আল হাসান।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করা আইরিশরা প্রথম ইনিংসে অবশ্য বেশিদূর দৌড়াতে পারেনি, একাই ৫ উইকেট নিয়ে তাইজুল ইসলাম তাদের ২১৪ রানে থামান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত ৩ উইকেট হারালেও মিডল অর্ডারের দৃঢ়তায় স্কোরবের্ডে ৩৬৯ রান তোলে বাংলাদেশ, মুশফিকুর রহিম শতক হাঁকান। ১৫৫ রানের লিড পায় বাংলাদেশ।