খাবারের স্বাদ বাড়াতে গোলমরিচের জুড়ি নেই। এটি এমন একটি মশলা যা আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি খাবার হজমে সহায়তা করে। পাশাপাশি ডায়রিয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে অন্ত্রের গ্যাস গঠনে বাধা দেয়। আয়ুর্বেদ মতে, গোলমরিচ কানের ব্যথা প্রতিরোধেও সহায়তা করে।
গোলমরিচে ম্যাগনেসিয়াম, তামা, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ফাইবার, সীমিত পরিমাণ প্রোটিন, শর্করা ইত্যাদি উপাদান রয়েছে। এ ছাড়া এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে, যা বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে আমাদের সুস্থ থাকতে সহায়তা করে।
এবার জেনে নিন ওজন কমানোর ক্ষেত্রে গোলমরিচের কিছু স্বাস্থ্য সুবিধা-
১) গোলমরিচে ‘পিপেরিন’ নামক একটি শক্তিশালী যৌগ থাকে যা মরিচের স্বাদ বাড়ায়। এই যৌগটি বিপাকের গতি বাড়ায় এবং শরীরে চর্বি জমতে দেয় না, নতুন ফ্যাট কোষ গঠনে হস্তক্ষেপ করে।
২) ফ্যাটি অ্যাসিড, ট্রাইগ্লিসারাইড, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে গোলমরিচ।
৩) গোলমরিচগুলোর বাইরের স্তরে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট থাকে যা ফ্যাট কোষগুলোকে ভাঙতে সাহায্য করে।
৪) ওজন কমানোর জন্য, আপনি পান পাতায় গোলমরিচ দিয়ে চিবিয়ে খেতে পারেন। এই পদ্ধতিটি ওজন হ্রাস করার একটি শক্তিশালী উপায়। কারণ গোলমরিচ এবং পান উভয়ই আমাদের শরীর থেকে ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে এবং ওজন হ্রাস করতে সহায়তা করে।
৫) আপনি যদি ক্যালোরি-নিয়ন্ত্রিত ফ্যাট কমানোর জন্য ডায়েটে থাকেন তবে খাদ্যতালিকায় অবশ্যই গোলমরিচ রাখতে পারেন। কারণ এক চা চামচ গোলমরিচে মাত্র ৪ ক্যালোরি রয়েছে।
৬) গোলমরিচ ‘থার্মোজেনিক’ জাতীয় খাদ্য উপাদান থাকে, যা দ্রুতি চর্বি ঝরায় এবং বিপাকক্রিয়া বাড়ায়।
৭) গ্রিনটির সঙ্গে আদা দিয়ে গোলমরিচ ব্যবহার করে চা খেতে পারেন। এটি মেদ ঝরাতে বেশ উপকারী।
৮) গোলমরিচে ‘কাপাসাইচিন’ থাকে, যা চর্বি কমাতে সাহায্য করে এবং মেদ ঝরায়।
৯) প্রতিদিন সকালে দু-একটা গোটা গোলমরিচ চিবিয়ে খেলে সারা দিন তা হজমে সাহায্য করে। এ ছাড়া মেটাবলিজমের হার বাড়ায় এবং মেদ ঝরাতে সাহায্য করে এই মশলাটি।
১০) গোলমরিচে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা আমাদের পেটের ভিসারাল ফ্যাটের বিরুদ্ধে লড়াই করে।