২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে কাটিয়েছেন পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। রড থর্নলি নামে এক লোক তখন ক্লাবটিতে ম্যাসাজকারীর কাজ করতেন। তার দায়িত্ব অবশ্য ২০০০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ছিল। সেই রড থর্নলিই রোনালদোর সম্পর্কে ফাটিয়েছেন বোমা।
জন পারকিন এবং ক্রিস ব্রাউনের সঙ্গে আন্ডার দ্য কশ পডকাস্টে কথা বলার সময় থর্নলি জানিয়েছেন, রোনালদোর জন্য কীভাবে তিনি ড্যানি মিনোগের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করেছিলেন।
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি তখন বলছিলাম, আমি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সামান্য একজন ম্যাসাজকারী, আমি কীভাবে তার নাম্বার পাব? ঠিক আছে, আসলে আমি অনেক কিছু করতে পারি এবং চার-পাঁচদিনের মধ্যেই ড্যানি মিনোগের নাম্বার আমার ফোনে নিয়ে আসতে পেরেছি।’
সে সময় এক্স-ফ্যাক্টর শো’র বিচারক ছিলেন ড্যানি মিনোগ। সেই শো’তে উপস্থিত হয়েছিলেন একঝাঁক তারকা। তাদের মধ্যে ছিলেন পুসিক্যাট ডল কিম্বারলি ওয়াটও। তার ক্ষেত্রেও একই অনুরোধ আসে রোনালদোর পক্ষ থেকে বলে জানান থর্নলি।
এরপরই নিজের লাভের দিকটি তুলে ধরেন থর্নলি। রোনালদোকে বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, ‘‘এগুলো করে আমার লাভ কী? আমি আপনার জন্য মেয়েদের নম্বর এনে দিচ্ছি, এতে আমার জন্য কী আছে?’’ তখন তিনি বলেছেন, ‘‘ঠিক আছে, তুমি আমার গাড়ি চাও?’’ তার একটি পোরশে ক্যারেরা কনভার্টেবল গাড়ি ছিল। এরপর রোনালদো বলেছেন, ‘‘যখন আমি রিয়াল মাদ্রিদে যাব, তখন আমার গাড়িটি আমি অর্ধেক দামে তোমার কাছে বিক্রি করে দিব।’’ আমি সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যাই। আমার মাত্র ১০ মিনিটি লেগেছে তার নম্বর পেতে- এরপর সেটি তাকে (রোনালদো) হস্তান্তর করি।’
থর্নলি বলেন, ‘মৌসুম শেষে আমি তার কাছে গিয়ে বলি: ‘‘আমাদের চুক্তি মনে আছে?’’ সে বলে ‘‘হ্যাঁ’’। আমি তার ৬০ হাজার পাউন্ডের গাড়ি ৩০ হাজার পাউন্ডে রেখে দেই এবং পরের দিন সেটি আবার ৬০ হাজার পাউন্ডে বিক্রি করি।’