লাগাতার হত্যার হুমকি উপেক্ষা করে ঈদের দিন ভক্তদের সামনে হাজির হলেন ভাইজান। শনিবার সকাল থেকেই বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়ন ছিল সালমান খানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে।
ঈদের দিন সকাল থেকেই ভাইজানের বান্দ্রার বাড়ির সামনে প্রতীক্ষায় প্রহর গুনছিলেন অনুরাগীরা। তীব্র গরম, মাথায় রোদের তেজ সবকিছুকে উপেক্ষা করে প্রিয় তারকাকে এক নজর দেখার আশায় গ্ল্যালাক্সির সামনে ভিড় জমিয়েছিলেন তারা।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সেই চিত্র।
ঈদের দিন ভক্তদের দর্শন দেবেন সালমান, বেশ কয়েক বছর ধরে এটাই চলে আসছে। তবে এই বছর আশঙ্কার মেঘ ঘিরে ধরেছিল ভক্তদের। লাগাতার হত্যার হুমকির জেরে ভাইজানের বাড়ির সামনে ভিড় জমানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলো মুম্বাই পুলিশ। ঈদের দিন অবশ্য পুলিশ বাধা দেয়নি, তবে কড়া পাহারার ছিলেন তারা। বিকাল গড়াতেই গ্ল্যালাক্সির বারান্দায় দাঁড়িয়ে ভক্তদের উদ্দেশে হাত নাড়লেন দাবাং খান। শুভেচ্ছাবার্তায় ভরিয়ে দিলেন নীচে দাঁড়ানো হাজারো ভক্তকে। সঙ্গে ছিলেন সেলিম খানও।
অপেক্ষমাণ অনুরাগীদের সালাম জানিয়েছেন, আবার কখনও জোর হাতে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। সকলের উদ্দেশে তার বার্তা, ‘ঈদ মোবারক’। নীল পোশাকে ভক্তদের সামনে আসলেন সালমান। তাকে ঘিরে ছিল নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা। বন্দুকধারী সিকিউরিটি গার্ডরা এক মুহূর্তের জন্যও চোখের আড়াল করেনি তাকে। উত্তেজিত জনতাকে সামাল দিতে হিমশিম খেয়েছে পুলিশ।
ঈদের দিন পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটিয়েছেন ভাইজান। এদিন সেলিম, সালমা খানের পাঁচ সন্তানকে দেখা গেছে একফ্রেমে। পাঁচ ভাইবোনের মিষ্টি ছবি শেয়ার করেছেন অর্পিতা খান শর্মা। পরিবারের সকলে মিলে এদিন ভাগ করে নিলেন ঈদের আনন্দ।
মালাইকা-আরবাজ পুত্র দেশে না থাকায় দেখা মেলেনি তার, ছিল না আলভিরা কন্যা আলিজেও। তবে খান পরিবারের নতুন প্রজন্মের বাকি সদস্যরা হাজির ছিল ঈদের আড্ডায়।
গত কয়েকমাস ধরে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাং-এর পক্ষে লাগাতার প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন সালমান। তা সত্ত্বেও ঈদের দিন ভক্তদের খালি হাতে ফেরাননি ভাইজান। নায়কের এই সাহসিকতায় মুগ্ধ অনুরাগীরাও।
প্রসঙ্গত, সালমানের ঈদ রিলিজ ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’। মুক্তির প্রথম দিন বক্স অফিসে ১৫.৮১ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। তামিল সিনেমার ‘বীরাম’-এর অনুপ্রেরণায় তৈরি এই সিনেমাতে সালমানের বিপরীতে রয়েছেন পূজা হেগড়ে। এছাড়াও এতে অনান্য চরিত্রে রয়েছেন জগপতি বাবু, শেহনাজ গিল, রাঘব জুয়েল, জেসি গিল, সিদ্ধার্থ নিগম, ভেঙ্কটেশ দঘুবতি, পলক তিওয়ারিরা।