ম্যাচটাকে বলা হচ্ছিল অলিখিত ফাইনাল। অবশ্য গুরুত্ব বিবেচনায় ফাইনালের চেয়ে কোনো অংশে কম ছিল না। যেখানে এক কথায় গানারদের গুঁড়িয়ে দিয়েছে ম্যানসিটি। শিরোপা দৌড়ে এগিয়ে যাবার ম্যাচে ছন্নছাড়া আর্সেনালকে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে পেপ গার্দিওয়ালার দল।।
দলের জয়ে স্বরূপে দেখা দিলেন কেভিন ডি ব্রুইনা। তার জোড়া গোলেই হালি পূরণ করেছে ম্যানসিটি। হালান্ড গোল করছেন, ডি ব্রুইনা করাচ্ছেন; দৃশ্যটা মৌসুম জুড়ে খুব পরিচিত হলেও বুধবার দেখা গেল বিপরীত চিত্র। বৃহস্পতিবার ব্রুইনার জোড়া গোলে দু’বারই বলের যোগানদাতা হালান্ড।
তবে নিজেদের কাজটাও ভোলেননি দু’জনে। প্রথমার্ধের শেষ দিকে ডি ব্রুইনা এক গোল করিয়েছেন জন স্টোনকে দিয়ে। বিপরীতে ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে এসে গোলের দেখা পেয়েছেন আর্লিং হালান্ডও। তবে গোল যেই করেন কিংবা যেই যোগান দেন; লাভটা তো হয়েছে ম্যানসিটিরই।
তবে যে সহজ সুযোগগুলো হাতছাড়া করেছে সিটি, তাতে আরো এল হালি গোল অনায়াসেই উপহার দেয়া যেত গানারদের; হয়তো বা আরো বেশীও! আর্সেনালের রক্ষণ নিয়ে যেভাবে ছেলে খেলায় মেতেছিল হলান্ড-ডি ব্রুইনা, তাতে গোল সংখ্যা দুই অঙ্কে নিয়ে যাওয়াও অসম্ভব ছিল না। তবে ভাগ্যের জেরে আর গোলরক্ষক অ্যারন রামসডেলের কল্যাণে সেই লজ্জা থেকে রক্ষা পেয়েছে আর্সেনাল।
যাহোক, ম্যাচের সাত মিনিটেই গোলের মুখ খুলেন ডি ব্রুইনা। হলান্ডের পাস থেকে বল পেয়ে দারুণ দক্ষতায় দলকে এগিয়ে দেন তিনি। সেইসাথে সমর্থকদের এনে দেন প্রথম উল্লাসের উপলক্ষ।দ্বিতীয় গোলটা এসেছে ডি ব্রুইনার কল্যাণে।প্রথমার্ধের যোগ হওয়া সময়ে তার করা ফ্রি-কিক থেকে হেডে গোল করেন স্টোনস ২-০ গোল নিয়ে বিরতিতে যায় সিটি।
বিরতির পর যেন আরো উদ্যমে ফিরে আসে ম্যানসিটি। ডি ব্রুইনা-হলান্ড আতংক ছড়াতে থাকেন আর্সেনালের রক্ষণভাগে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই রামসডেলকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন হলান্ড। তবে ব্যবধান ৩-০ করতে খুব বেশি সময় লাগেনি। ৫৪ মিনিটে ডি ব্রুইনার পরের গোলটাও চলে আসে, বলের জোগানদাতা হলান্ড।
দলের হয়ে চতুর্থ গোলটা নিজেই করেন হলান্ড। অতিরিক্ত হিসেবে যোগ করা ৫ মিনিটের একদম শেষ সময়ে গোল করেন তিনি। ফিল ফোডেনের পাস বক্সে ফাঁকায় পেয়ে চলতি মৌসুমে নিজের ৪৯তম গোলের দেখা পেয়ে যান হলান্ড। অবশ্য এর আগে ৮৬তম মিনিটে একটি গোলের দেখা পায় আর্সেনাল, গোলটি করেন রব হোল্ডিং। যা শেষ পর্যন্ত ছিল শুধুই ব্যবধান কমানোর সান্ত্বনা।
এই জয়ে শিরোপা লড়াইয়ে এক পা এগিয়ে গেল পেপ গার্ডিওয়ালার দল। শীর্ষে থাকা আর্সেনালের থেকে দুই পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও সিটি কম খেলেছে ২ ম্যাচ। ৩৩ মনে ৭৫ পয়েন্ট আর্সেনালের, ৩১ ম্যাচে ম্যানসিটির পয়েন্ট ৭৩।
অথচ সপ্তাহ দুয়েক আগেও ম্যানসিটি থেকে ৮ পয়েন্টের ব্যবধামে এগিয়ে ছিল গানাররা, তবে শেষ ৪ ম্যাচের তিনটিতে ড্র আর একটিতে হেরে বিপাকে পড়ে গেছে তারা।