ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজধানীর গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়ার বাড়ীতে অফিযান চালায় র্যাব। সুত্রাপুর মুরগীটোলা মোড়ের বাসা থেকে নগদ ১ কোটি ৫ লাখ টাকা ও ৭৩০ ভরি সোনা জব্দ করেছে র্যাব। সোমবার দিবাগত রাতে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলমের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এসব সামগ্রী জব্দ করা হয়।
অভিযান শেষে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল কেএম শফিউল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি রাজধানীর ইংলিশ রোড থেকে ৫ টি ভল্ট ভাড়া নেয় কে বা কারা। পরে তথ্য সংগ্রহ করে জানতে পারি, ভল্টগুলো রুপন ও এনামুল -এই দুই ভাই ভাড়া নিয়েছে। ক্যাসিনোর লাভের টাকা এসব ভল্টে রাখা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, জুয়ার টাকা দিয়ে এরা অনেকগুলো বাড়ি কিনেছে। এখন পর্যন্ত আমরা ১৫ টি বাড়ির সন্ধান পেয়েছি। এই ভবনের (৩১, বানিয়ানগর) দ্বিতীয় ও পঞ্চম তলায় অভিযান চালিয়ে তিনটি ভল্ট উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকেও টাকা ও স্বর্ণ পাওয়া যায়। একই সময় অভিযান থেকে ৫ টি অস্ত্র পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা র্যাবকে জানিয়েছে, এসব অস্ত্র দিয়ে স্থানীয় লোকদের ভয় দেখাত।
সূত্র জানায়, এনামুল ও রুপনা ৬ ভাই। ১৯৮৫ সাল থেকেই এনামুল ওয়ান্ডার্স ক্লাব ও রুপন আরামবাগ ক্লাবে জুয়া খেলত। কিন্তু গত তিন-চার বছর আগে তারা হঠাৎ করে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি কেনা শুরু করে। যে বাড়িটি র্যাব ঘিরে রেখে অভিযান চালাচ্ছে সে বাড়িটি গত দেড় বছর আগে হারুনুর রশীদ নামে একজনের কাছ থেকে তারা কিনেছেন। ভবনের চতুর্থ তলায় এনামুলের শ্যালক-শাশুড়ি থাকেন। র্যাব সূত্র জানায়, এই চতুর্থ তলার সিন্দুক থেকে ৭ কেজি স্বর্ণ পাওয়া গেছে। আরেকটি সিন্দুক থেকে এক কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, ওয়ারী, সূত্রাপুর, গেন্ডারিয়া, বংশাল, কোতোয়ারী থানা এলাকায় এই পরিবারের ৫০টির মতো বাড়ি রয়েছে। তবে এই রুপন এবং এনামুল কোন বাড়িতে থাকে সেটি তারা জানেন না।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই বাড়িতে এখনো অভিযান চলছে। দুপুরে সাংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।