টিভি চ্যানেল, পত্র-পত্রিকা এমনকি অনলাইনেও ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে সাবলম্বী হওয়ার গল্প হরহামেশাই চোখে পড়ে। বিশেষ করে ‘ঘরে বসে আয়’, ‘অনলাইনে আয়’ বা ‘ফ্রিল্যান্সিংয়ে লাখ টাকা আয়’ এই হেডলাইনগুলোর কারণে ফ্রিল্যান্সিংয়ে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। মনে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক, ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিংয়ে এত টাকা আয় কি আসলেই সম্ভব?
‘হ্যাঁ অবশ্যই সম্ভব, এমনকি এর চেয়েও বেশি আয় সম্ভব,’ ভয়েস অব আমেরিকাকে জানান ফ্রিল্যান্সার মাহরুফুর রহমান (২৬), ‘কিন্তু তার আগে আপনাকে দক্ষ হতে হবে এবং ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেকে সেই পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে।’
রহমান একজন কনটেন্ট রাইটার। সেই ২০১৬ সাল থেকে ফ্রিল্যান্সিং করে আসছেন। তার মতে, ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফলতা পেতে একজন ব্যক্তিকে ডেডিকেশন বা পরিশ্রমের উপর ভিত্তি করে তিন মাস, ছয় মাস বা ১-২ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
ফ্রিল্যান্সিং না ফুলটাইম চাকরি?
ফ্রিল্যান্সিং- বাংলায় যাকে বলে মুক্ত পেশা। এটি ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ারের মতো নির্দিষ্ট কোনো পেশা নয়; কাজ করার একটি মাধ্যম। যেমন ধরুণ, আপনি একজন গ্রাফিক ডিজাইনার, একটি প্রতিষ্ঠানের হয়ে ফুলটাইম চাকরি করছেন, বা অনলাইনে কোনো মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করছেন। এই দুই ক্ষেত্রেই আপনার পরিচয় কিন্তু গ্রাফিক ডিজাইনারই থাকছে। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র আপনার কাজের জায়গাটা পরিবর্তন হচ্ছে।
ফ্রিল্যান্সাররা অন্যান্য ফুলটাইম চাকুরিজীবীদের চাইতে বেশ কিছু ক্ষেত্রেই বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকেন। ফ্রিল্যান্সাররা তাদের পছন্দ অনুযায়ী কাজ বেছে নিতে পারেন এবং সেই কাজের জন্য নিজেই মূল্য নির্ধারণ করতে পারেন। পাশাপাশি তাদের কাজ করার জন্য কোনো ধরাবাঁধা সময় থাকে না।
একজন ফ্রিল্যান্সার তার সুবিধা অনুযায়ী নিজের কাজ নিয়ে বসতে পারেন। ট্রাফিক জ্যাম বা বৃষ্টির বাঁধা পেরিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে তাদের অফিসে যাওয়ারও কোনো তাড়া নেই। ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে দক্ষতাই যেহেতু সবচাইতে বেশি গুরুত্ব পায়, তাই শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রশ্নেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাধা থাকে না। মূলত এমনতর অনেক সুবিধার কারণেই ফুলটাইম জবের চেয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রতি মানুষ বেশি আগ্রহী।
ফ্রিল্যান্সিং কি আয়ের সহজ পথ?
‘ফ্রিল্যান্সিং আয়ের একটি সহজ পথ’ এটি একটি ভুল ধারণা বলে মনে করেন একটি ফ্রিল্যান্সিং এজেন্সির পরিচালক রিফাত আহমেদ (২৫)। ‘আমার সাথেই আমার পরিচিত ২০-২৫ জন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে, তার মধ্যে কেবল একজন সফল হয়েছে,’ বলেন তিনি।
কনটেন্ট রাইটার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করলেও বর্তমানে একটি ফ্রিল্যান্সিং এজেন্সি সামলাচ্ছেন আহমেদ। বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠার পর যখন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেন, ফ্রিল্যান্সিং ছাড়া তখন তার সামনে দুটো রাস্তা খোলা ছিল; টিউশনি অথবা চাকরি। কলেজ জীবনে ঢেড় ছাত্র পড়িয়েছেন ও পথ আর মাড়াতে চান না। আবার চাকরি করলে পড়ালেখায় সময় দিতে পারবেন না। সবদিক বিবেচনা করে শেষমেশ ফ্রিল্যান্সিংকেই বেছে নেন জীবিকা হিসেবে। ‘ফ্রিল্যান্সিংয়ে সাক্সেসফুল অনেকেই আছে কিন্তু সাক্সেসের রেট খুবই কম,’ বলেন তিনি।
একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হয়ে ওঠা মোটেই সহজ নয়। এখানে এমন কোনো শর্টকাট নেই যাতে রাতারাতি সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়া সম্ভব। তবে আপনার যদি (শেখার) দক্ষতা থাকে, তাহলে কাজটা সহজ হয়ে যায়, এমনট মনে করেন আহমেদ।
ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফলতার মূলশর্ত : দক্ষতা অর্জন
অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে ফ্রিল্যান্সিং-এর জন্য অসংখ্য কাজ আছে। ডাটা এন্ট্রি, গ্রাফিক ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, ভিডিও এডিটিং, লোগো ডিজাইন, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন, গেম ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, এসইও, জাভাস্ক্রিপ্ট, সিএসএস, এইচটিএমএল, পিএইচপি, অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপমেন্ট, ব্লকচেইন, প্রজেক্ট ম্যানেজিং, কোডিংসহ আরো অনেক কাজ করার সুযোগ আছে।
ভেবে দেখুন, আপনি যেই কাজই করতে চান না কেন, আপনাকে প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের সাথে। সেই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে নিজেকে সেভাবেই গড়ে তুলতে হবে।
রিফাত আহমেদের মতে, ব্লকচেইন নিয়ে কাজগুলো বিশ্বব্যাপী বাড়ছে, বাংলাদেশে এখনো সেটা খুব একটা প্রচলিত হয়নি। ‘এখানে কম্পিটিশন খুব কম বিধায় আপাতত এই সেক্টর খুবই পটেনশিয়াল। গ্রাফিক ডিজাইন বা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এই সেক্টরগুলোতেও কাজ আছে,’ আহমেদ বলেন, ‘তবে দেখা যায়, কাজের চাইতে কাজ করার মানুষ বেশি।’
এদিকে, মারুফুর রহমান বিশ্বাস করেন, দক্ষতা না থাকলে কখনোই ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হওয়া সম্ভব না।
তার মতে, ব্লকচেইন বা সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টে এখন আয়ের সু্যোগ অনেক বেশি হতে পারে। তার মানে এই না, আপনাকে সেদিকেই ঝুঁকতে হবে। যেসব সেক্টরে আপনার আগ্রহ নেই বা কাজ করতে ভালো লাগে না, সেই সেক্টর যতই প্রফিটেবল হোক, আপনি তা থেকে উপার্জন করতে পারবেন না, বলেন আহমেদ। আপনার গ্রাফিক ডিজাইন ভালো লাগে, আপনার প্রথম কাজ হবে গ্রাফিক ডিজাইনে দক্ষ হওয়া। দক্ষ হলে আপনার যতই কম্পিটিটর থাকুক, আপনি কাজ পাবেন।
তাই প্রথমেই আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনি কোন বিষয়ে কাজ করতে চান। আপনি যে বিষয়ে দক্ষ বা যে বিষয়ে আপনার আগে থেকেই কাজ করার আগ্রহ ছিল, তা দিয়ে শুরু করুন। কাজ আসতে থাকলে পরে নিজেকে আরো দক্ষ করে তুলতে নানান প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন।
আপনি চাইলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কোর্সে ভর্তি হতে পারেন। অনলাইনেও অর্থের বিনিময়ে বা বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ নেয়ার সুযোগ আছে। মনে রাখবেন, এই পথ অনেক লম্বা, তাই এখানে আপনাকে ধৈর্য্য এবং আত্মবিশ্বাসের পরিচয় দিতে হবে।
মার্কেটপ্লেসে কাজ পেতে যা যা করবেন
মার্কেটপ্লেসগুলো মূলত ক্লায়েন্ট বা গ্রাহকদের সাথে ফ্রিল্যান্সারদের যোগাযোগ স্থাপন করে। Fiverr, Upwork, Freelancer, Peopleperhour, Guruসহ আরো অনেক জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস আছে।
আপনি যে মার্কেটপ্লেসে কাজ করবেন, সেখানে সঠিক নাম, ঠিকানা, ইমেইল ইত্যাদি সাবমিট করে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে। এরপর আপনাকে দারূণ সুন্দর আর গোছানো একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে, কারণ ক্লায়েন্ট সবার প্রথমে দেখবে আপনার প্রোফাইল। সেখানে যদি আপনার পেশাদারিত্বের নমুনা না পাওয়া যায়, ক্লায়েন্ট আকৃষ্ট হবে না।
প্রোফাইলে আপনার একটি প্রফেশনাল ছবি যুক্ত করবেন। চেষ্টা করবেন সেলফি বাদে হাসিমুখে ক্যামেরার দিকে তাকানো একটি ছবি যুক্ত করতে। প্রোফাইলের হেডিং লেখার সময় আপনার দক্ষতা এবং কাজের ধরন নিয়ে দুই বাক্যের মধ্যে গুছিয়ে লিখতে হবে। এরসাথে যুক্ত করতে হবে আপনার কাজের কিছু নমুনা বা পোর্টফোলিও। সেখানে ছোট করে আপনার আগে করা কাজের তথ্য এবং কিছু ছবি যুক্ত করবেন।
পোর্টফোলিও ভারী করতে অনেকেই দ্বিধায় থাকেন যে কোয়ালিটির উপর ফোকাস দিবেন, নাকি কোয়ান্টিটি। ‘শুরুতে যখন আপনার কাজ খুব কম হবে, তখন আপনি কোয়ান্টিটিতে ফোকাস করতে পারেন,’ বলেন রহমান। কিন্তু যখন আপনার কাজ বাড়বে, তখন শুধু সেরা কাজগুলোই যুক্ত করবেন পোর্টফোলিওতে।
মার্কেটপ্লেসের নিয়মকানুন নিয়ে সতর্ক থাকবেন। না হলে, আপনি যতই পুরোনো ফ্রিল্যান্সার হোন না কেন, নিয়ম ভাঙলে আপনার একাউন্ট বাতিল করে দিতে পারে। একাউন্ট বাতিল হওয়াটা একেক মার্কেটপ্লেসে একেক কারণে হতে পারে। সেগুলো ছাড়াও রিফাত আহমেদ আরো কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেছেন। তারমধ্যে আছে পেমেন্ট বাইরে চাওয়া, এক মার্কেটপ্লেসে আরেক মার্কেটপ্লেসের কথা বলা, টাকার জন্য ক্লায়েন্টকে খুব রিকোয়েস্ট করা আর অহেতুক ক্লায়েন্টকে মেসেজ করা।
নিয়মিত কাজ পেতে প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি ক্লায়েন্ট
একজন ক্লায়েন্ট যেমন আউটসোর্সিংয়ের জন্য নির্ভরযোগ্য ফ্রিল্যান্সার খুঁজে, তেমনি একজন ফ্রিল্যান্সারের নিয়মিত আয়ের জন্য প্রয়োজন হয় দীর্ঘমেয়াদি ক্লায়েন্ট। দীর্ঘমেয়াদি ক্লায়েন্ট বাদে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলো থেকে নিয়মিত আয় খুবই কঠিন।
তাই যখনই কোনো নতুন ক্লায়েন্ট আপনাকে কোনো কাজ দিবে, সবার আগে আপনি কাজটি ভালোভাবে বুঝেছেন কিনা সেটি দেখে নিবেন। কোনো প্রশ্ন থাকলে ক্লায়েন্টকে প্রশ্ন করে ক্লিয়ার হয়ে নিবেন। এই পুরো প্রক্রিয়াটিতে আপনাকে খুব প্রফেশনাল থাকতে হবে।
কাজের বাইরে অন্য কোনো বিষয়ে ক্লায়েন্টকে প্রশ্ন করা যাবে না। আপনাকে অবশ্যই কাজটি ডেডলাইনের আগে জমা দিতে হবে। যদি কোনো সমস্যার কারণে আপনি মনে হয় আপনি যথাসময়ে শেষ করতে পারবেন না তাহলে সেই বিষয়ে ক্লায়েন্টকে আগেই জানিয়ে রাখবেন।
মারুফুর রহমানের মতে, ক্লায়েন্টকে কাজ জমা দেয়াতেই সবকিছু শেষ নয়, সেটা ঠিকভাবে ডেলিভার করতে হবে। ‘ক্লায়েন্টকে তার কাজটি বুঝিয়ে দেয়ার আগ পর্যন্ত ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ করতে হবে,’ বলেন রহমান। অনেকসময় কাজ জমা দেয়ার পরেও দেখা যায়, ক্লায়েন্ট সেখানে নতুন করে কিছু যোগ করতে বলছে। সেটি ঠিকভাবে আবার করে তাকে জমা দিতে হবে।
রিফাত আহমেদ বলেন, ক্লায়েন্ট যখন আপনাকে কোনো মেসেজ দিবে, সেটা যদি আপনি ২-৩ ঘণ্টা পর বা পরের দিন রিপ্লাই দেন তাহলে ক্লায়েন্ট ধরে নিবে সে কাজটি নিয়ে হেলাফেলা করছে। এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পেমেন্ট নিয়ে নেগোশিয়েট না করা। কিছু কিছু ক্লায়েন্টের ক্ষেত্রে নেগোশিয়েট করতে হয়। তার মতে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দুই বা তিনটি কাজের পর পেমেন্ট নিয়ে খুব একটা কথা না বলা ভালো।
ক্লায়েন্ট যদি আপনাকে বিল পাঠাতে বলে সেক্ষেত্রে আপনি বিল পাঠাবেন। অন্যথায় ক্লায়েন্ট যেটা পেমেন্ট করবে সেটাই গ্রহণ করবেন। পেমেন্ট নিয়ে খুব একটা নেগোশিয়েট না করলে ক্লায়েন্টের সাথে সম্পর্ক ভালো থাকে। ‘ক্লায়েন্ট আপনার এক্সপেক্টেশনের চাইতে কম পেমেন্ট করবে না। কম পেমেন্ট করাটা খুবই রেয়ার,’ বলেন তিনি।
শুরুতে ভুল হবেই, সবারই হয়
সময়ের ব্যবধান নিয়ে প্রথম দিকে অনেকেই বুঝে উঠতে পারে না। আপনি যে ক্লায়েন্ট থেকে কাজ নিবেন, সেই ক্লায়েন্টের দেশের সময় ধরে কাজ করতে হবে। যেমন রিফাত আহমেদের বেশিরভাগ ক্লায়েন্ট যুক্তরাষ্ট্রের। তাই তিনি সেখানকার সময় অনুযায়ী কাজ করেন।
পেমেন্ট নিয়েও নতুনদের বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়। আপওয়ার্কে কাজের দক্ষতা, কাজের সময়, পরিমাণ ইত্যাদি বিশ্লেষণ করে পেমেন্ট ঠিক করা হয়। কিন্তু গিগভিত্তিক মার্কেটপ্লেসগুলোতে নিজের পারিশ্রমিক নিজেদের ঠিক করতে হয়। সেক্ষেত্রে, একই গিগ নিয়ে কাজ করা অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের গিগের দাম দেখে ধারণা করতে হবে আপনি নিজের কাজের কেমন দর নির্ধারণ করবেন।
ক্লায়েন্টদের সাথে ইংরেজিতে কমিউনিকেশন করতে না পারাটা বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের সবচেয়ে কমন সমস্যা, জানান মারুফুর রহমান, ‘আপনি যদি ক্লায়েন্টের কথা বুঝতে না পারেন, তাহলে আপনার আউটপুট ক্লায়েন্টের জন্য গ্রহণযোগ্য হবে না।’
অর্থাৎ কাজে আপনার যতই দক্ষতা থাকুক, ইংরেজিতে দক্ষতা না থাকলে কাজ পাওয়া এবং কাজ করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। তাই যোগাযোগের জন্য শুরুতেই ইংরেজিতে জোর দিতে হবে। চেষ্টা করবেন তাড়াতাড়ি এ ভাষায় নিজের দক্ষতা নিয়ে আসার। একই সাথে প্রোফাইল বা কভার লেটারে বানান বা গ্রামারে যাতে কোনো ভুল না থাকে সেদিকেও নজর দিতে হবে।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা