ফের ছন্দপতন পিএসজির, আবারো হেরেছে তারা। হেরে গেছে টেবিলের এগারো নম্বরে থাকা দল লরিয়েঁর বিপক্ষে, তবুও আবার নিজেদের ঘরের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে। হারের থেকেও চক্ষুশূল হারের ধরন, করতে হয়েছে ৩ গোল হজম। দলের এহেন অবস্থায় সমর্থকরা চুপ থাকেন কী করে! দুয়ো ছুড়ে দিয়েছেন মেসি-এমবাপ্পেদের উদ্দেশ্যে।
রোববার নিজেদের ঘরের মাঠে লঁরিয়ের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল পিএসজি। নানা ঘটনাবহুল যেই ম্যাচে ১-৩ ব্যবধানে হেরেছে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। যদিও লিগ আঁ-তে এখনো পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই আছে তারা। ৩৩ ম্যাচে ৭৫ পয়েন্ট পিএসজির।
ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় লরিয়ঁ। পঞ্চদশ মিনিটে রোমাঁ ফেভার চমৎকার ক্রসে আড়াআড়ি শটে জাল খুঁজে নেন অরক্ষিত এনজো লু ফি। ১৯৮৯ সালের পর প্রথমবার লিগ ওয়ানে ঘরের মাঠে টানা আট ম্যাচে গোল হজম করল পিএসজি।
যদিও প্রথম সুযোগ পেয়েছিল পিএসজিই। ১১তম মিনিটে এমবাপ্পেকে একটা বল সাজিয়ে দিয়েছিলেন মেসি। তবে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ফরাসি ফরোয়ার্ড। দুই মিনিট পর ফের সুযোগ মিস করেন তিনি। মেসির কাটব্যাক একটুর জন্য নাগাল না পাওয়ায় এবারো হতাশ হতে হয়।
এদিকে শুরুতেই গোল হজম করা পিএসজি পাঁচ মিনিট বড় এক ধাক্কা খায় তারা। দলের বিপদ বাড়িয়ে ম্যাচের মাত্র ২০তম মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন আশরাফ হাকিমি। ফলে অনেকটা ব্যাকফুটে চলে যায় পিএসজি৷
তবে ২৯তম মিনিটে সমতায় ফেরে প্যারিসের দলটি, সমতায় ফেরান এমবাপ্পে। অবশ্য, গোলটি নিয়ে বেশ বিতর্ক হয়েছে। মূলত মাঠে একটি ফাউলের ঘটনা ঘটলেও বাঁশি বাজাননি রেফারি, নির্দেশ দেন খেলা চালিয়ে যাওয়ার। কিন্তু লরিয়ঁ গোলরক্ষক হয়তো সেটা লক্ষ্য করেননি, তিনি বল ছুড়ে দেন একটু সামনেই। সঙ্গে সঙ্গেই ছুটে গিয়ে বল জালে পাঠিয়ে দেন এমবাপে। প্রতিবাদ জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি।
কিন্তু এই ঘটনা যেন আরো তেতিয়ে দেয় লরিয়ঁকে। ৩৯ মিনিটে ইয়োঙ্গা গোল করলে আবারো পিছিয়ে পড়ে গালতিয়েরের দল। ২-১ ব্যবধান ধরে রেখে বিরতিতে যায় পিএসজি।
বিরতি থেকে ফিরেও সাজানো ফুটবল উপহার দিতে পারেনি পিএসজি, পারেনি মুহূর্মুহূ আক্রমণে ম্যাচে প্রাণ আনতে। দুই-একটা সুযোগ তৈরী করলেও তা যায় বিফলে। বিপরীতে আরো দু’বার পিএসজির জালে বল জড়ায় লরিয়ঁ। যদিও একটা গোল অফসাইডে বাতিল হয়ে যায়।
৮৮তম মিনিটে শেষ গোলটা করেন দাইয়েং। পাল্টা আক্রমণে ব্যবধান ৩-১ করেন তিনি। যদিও তার প্রথম প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন পিএসজি গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুম্মা। কিন্তু দ্বিতীয় চেষ্টায় ঠিকই জাল খুঁজে নেন দাইয়েং।
এমন অসহায় আত্মসমর্পণের পর মেসি-এমবাপ্পেরা যখন মাঠ ছাড়ছিলেন, তখন পিএসজির সমর্থকেরা দুয়ো দিয়েছেন তাদের উপর। মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়েন খেলোয়াড়েরা।