ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলানো, পরতে পরতে উত্তেজনা ছড়ানো রোমাঞ্চকর একটা ম্যাচ দেখল আইপিএল। স্বল্প রানের শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে গুজরাটকে ৫ রানে হারিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। শেষ বল পর্যন্ত মাঠে থেকেও দলকে জেতাতে পারলেন না অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া।
মঙ্গলবার হওয়া এই ম্যাচে শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্যে গুজরাটের প্রয়োজন ছিল ৩৩ রান। অসম্ভব না হলেও ম্যাচ যেভাবে চলছিল তাতে জয় পাওয়াটা অনেকটা অবাস্তবই ছিল। তবে সব সমীকরণ বদলে দেন রাহুল তিওয়াতিয়া। ১৯তম ওভারের শেষ ৩ বলে নর্টজেকে মারেন তিন ছক্কা। সুবাদে শেষ ওভারে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২ রান।
ফলে ম্যাচ এবার অনেকটা গুজরাটের দিকেই হেলে পড়ে। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি, প্রথম ৩ বলে ৩ রান আসার পর চতুর্থ বলে ফেরেন তিওয়াতিয়া। শেষ দুই বলে রশিদ খান ৩ রানের বেশী নিতে পারেননি। ফলে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে স্কোরবোর্ডে তোলা ১৩০ রানই যথেষ্ট হলো দিল্লির জয়ের জন্যে।
এদিকে আগামী ৪ মে আইপিএল ছেড়ে জাতীয় দলের সাথে যোগ দেবেন মোস্তাফিজুর রহমান। তার আগে আজই ছিল এই পেসারের উপস্থিতিতে দল দিল্লির শেষ ম্যাচ। তবে আজো একাদশে ঠাঁই হয়নি মোস্তাফিজের। তাকে ছাড়াই একাদশ সাজায় রাজধানীর দলটি।
এইদিন আগে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মফ শামির বোলিং তোপে পড়ে দিল্লি। রাজধানীর দলটার টপ অর্ডার ভেঙে খানখান করে দেন তিনি। মাত্র ৫ ওভারে ২৩ রানে ৫ উইকেট হারায় তারা। যার চারটিই যায় শামির ঝুলিতে। যাদের মাঝে শুধু প্রিয়াম গার্গ (১০) পেরেছিলেন দুই অংকের ঘরে পৌঁছুতে।
শেষ দিকে অক্ষর প্যাটেলের ২৭, আমান খানের ৪৪ বলে ৫১ ও রিপাল প্যাটেলের ১৩ বলে ২৩ রানে ১৩০ রান পর্যন্ত পৌঁছে দিল্লি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে অনেকটা যেন দিল্লিকেই অনুসরণ করে গুজরাট। ৬.৪ ওভারে ৩২ রানের মাঝেই ৪ উইকেট হারায় তারা। যাদের কেউ পারেননি দুই অংকের ঘরে যেতে। তবে তিন নাম্বারে নামা হার্দিক পান্ডিয়া অভিনব মনোহরকে নিয়ে ঘুরে দাঁড় করান দলকে।
দুজনের পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৬৬ বলে যোগ হয় ৬২ রান। ৩৩ বলে ২৬ রান করে আউট হন অভিনব। দলীয় সংগ্রহ তখন ১৭.১ ওভারে ৯৪/৫। শেষ ১৭ বলে প্রয়োজন তখন ৩৭ রান।তিওয়াতিয়া ৭ বলে ২০ রান যোগ করলেও সেই সমীকরণ মেলেনি। হার্দিক অপরাজিত থাকেন ৫৩ বলে ৫৯ রান করে।
দুটি করে উইকেট নেন খলিল আহমেদ ও ইশান্ত শর্মা। তবে ৪ ওভারে মোটে ১৫ রান দিয়ে দলকে লড়াইয়ে রাখেন কুলদিব যাদব। একটা উইকেটও পান তিমি।।