দেশের ক্রিকেট তো বটেই, বিশ্ব ক্রিকেটেও বড় উজ্জ্বল ‘সাকিব আল হাসান’ নামটা। শুধু ব্যাট-বলের কারসাজিতে নয়, ক্রিকেট মেধাতেও উর্বর মস্তিষ্কের অধিকারীদের একজন তিনি। তার ক্রিকেটীয় জ্ঞানে মুগ্ধ হয়ে এবার মোহামেডানের কোচ তো বলেই দিলেন, ‘ক্রিকেট নিয়ে গবেষণা করতে চাইলে সাকিবকে নিয়ে করতে!’
বাংলাদেশ ক্রিকেটে সাকিব আল হাসান নামটা কত বড় পাওয়া, কড়া হিসেব কষেও তার ইয়ত্তা হবে না। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মোহামেডান কোচ আশিকুর রহমান যা বলেছেন সাকিবকে নিয়ে, তা হতে পারে দলের প্রতি সাকিবের প্রভাবের খানিকটা উপমা।
বুধবার সংবাদমাধ্যমের সাথে আলাপকালে নানান কথার পরিপ্রেক্ষিতে মোহামেডান কোচ আশিকুর রহমান সাকিব সম্পর্কে তার মূল্যায়ন তুলে ধরেন। বর্ণনা করেন, দলে সাকিবের প্রয়োজনীয়তা ও উপকারীতা। শুনিয়েছেন সাকিবের সাথে কাজের অভিজ্ঞতা।
যার এক পর্যায়ে আশিক বলেন, ‘আমি কোচ হিসেবে যেটা দেখছি যে কেউ যদি বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ে গবেষণা করতে চায়, তবে যেন সাকিবকে নিয়ে গবেষণা করে, তাহলে সে ক্রিকেট নিয়ে ধারণা পাবে। তাছাড়া সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত একটা জাদু আছে তার মধ্যে। যার প্রভাব নিজের দলে, প্রতিপক্ষে সব জায়গাতেই পড়ে।’
এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সাকিব খেলেন মোহামেডানের হয়ে। তিনি যখন দলে যোগ দেন, টানা পাঁচ ম্যাচ খেলে দল তখনো জয়হীন। তবে তিনি যোগ দেয়ার সাথে সাথেই যেন নিজেদের খুঁজে পায় ঐতিহ্যবাহী এ ক্লাবটি। পরে টানা সাত ম্যাচ জিতে সুপার লিগ নিশ্চিত করে মোহামেডান।
এখানেই সাকিবের কী ভূমিকা ছিল, সেই সম্পর্কে বলতে গিয়ে আশিকুর রহমান বলেন, ‘একজন কোচ হিসেবে এটা আমি দেখেছি সে দলের ওপর কিভাবে ইমপ্যাক্ট ফেলছে। তার উপস্থিতি, তার এনার্জি এমনভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, যা ইনফ্লুয়েন্স করছে আমাদের সবার ভেতরে। ফলে সবার ভেতর থেকে শক্তিটা বের হয়ে আসছে, যেটা আগে নিভে ছিল।’
সাকিবকে কোচিং করানো আসলে কেমন? এই প্রশ্নের উত্তরে মোহামেডান কোচ জানান, এটা বিশাল বড় পাওয়া। সাকিব যে দলে থাকে, সে দলে খেলোয়াড়দের খেলাটা সহজ হয়ে যায় এবং কোচদের জন্য কোচিংটাও সহজ হয়ে যায়। ওর যে ইনভলভমেন্ট, একবার ডাগআউটে যাচ্ছে, দ্বাদশ খেলোয়াড়ের মাধ্যমে তথ্য পাঠাচ্ছে, ড্রেসিং রুমে মজা করছে, বাইরে থেকে একটা ইতিবাচক আওয়াজ দিচ্ছে। এর প্রভাব বিপক্ষ দলেও পড়ে বলে দাবি করে আশিক।
তিনি বলেন, ‘শুধু আমাদের না, বিপক্ষ দলের ড্রেসিংরুমে বা তাদের ছাতার নিচেও এর ইমপ্যাক্ট পড়ে। এক সাকিব আল হাসানের একটা কথা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তার ভেতরে আল্লাহ প্রদত্ত একটা জাদু আছে।’