রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে তৈরি পোশাক রফতানি ৩৮ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় নয় দশমিক ০৯ শতাংশের বেশি।
বিভিন্ন ক্যাটাগরির বিবরণে দেখা গেছে, আট দশমিক ৯৭ শতাংশ ও নয় দশমিক ২৪ শতাংশ বছর-বছর বৃদ্ধি নিয়ে নিটওয়্যার ও ওভেন গার্মেন্টস রফতানি যথাক্রমে ২০ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ও ১৭ দশমিক ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। সামগ্রিকভাবে এটি বাংলাদেশের সামগ্রিক তৈরি পোশাক রফতানি আয়ের স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধির লক্ষণ।
সামগ্রিক ইতিবাচক প্রবণতা নির্বিশেষে, একক মাসের পরিসংখ্যানের আরো বিশদ পরিদর্শনে পোশাক রফতানি প্রবৃদ্ধির সাম্প্রতিক হ্রাস দেখা যায়।
২০২২ সালের এপ্রিলের তুলনায় এ বছরের এপ্রিলে দেশের তৈরি পোশাক রফতানি ১৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা তিন দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক ও ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, এই পতনের সংমিশ্রণ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সামগ্রিক পতনের প্রবণতায় অবদান রেখেছে, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের উল্লিখিত সময়ের জন্য অন্যথায় ইতিবাচক গতিপথের বিপরীতে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল ৪৬ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার এবং আমাদের নয় দশমিক ৮৩ ভাগ প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হবে। চলতি অর্থবছরে আর দু’মাস বাকি আছে, তাই এ দু’মাসে আমাদের প্রায় আট বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এপ্রিলে আমাদের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলারের বিপরীতে চার দশমিক ০৭ বিলিয়ন ডলার। এ মাসে আমরা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৮ দশমিক ৪০ শতাংশ কম রফতানি করেছি। আর গত বছরের এই মাসের তুলনায় আমাদের রফতানি কমেছে ১৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এটি এ বছরের সর্বনিম্ন এক মাসে রফতানি।’
রুবেল বলেন, ‘এর কারণ হলো, ঈদের কারণে আমাদের কর্মদিবস কম ছিল। সাধারণ ঈদের ছুটি থাকায় ওই মাসে রফতানি কম হয়। আরেকটি প্রবণতা যা চলছে তা হলো- অন্য মাসের তুলনায় গত মাসে আমাদের রফতানি কম ছিল। আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে আমাদের সক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসেও রফতানি কমেছে। আমরা ঈদের ছুটিতে নেতিবাচক প্রবণতা দেখেছি।’
তিনি বলেন, ‘তবে ঈদের ছুটির প্রভাবে না কি আমরা যে নেতিবাচক প্রবণতা দেখছি তার কারণে এই নেতিবাচক প্রবণতা রয়ে গেছে তা আগামী মাসেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। আশা করি, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আমরা অবশিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে সক্ষম হব।’
সূত্র : ইউএনবি