চেনা রূপে ফিরতে শুরু করেছে দিল্লি। টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে আইপিএল শুরু করলেও সময়ের সাথে সাথে ছন্দ খুঁজে পাচ্ছে তারা। শনিবার ব্যাঙ্গালুরুকে হারিয়ে আসরে নিজেদের চতুর্থ জয় তুলে নিলো রাজধানীর দলটি। ব্যাঙ্গালুরুর দেয়া ১৮২ রানের লক্ষ্য ২০ বল আর ৭ উইকেট হাতে রেখেই পাড়ি দিয়েছে দিল্লি।
বড় এই লক্ষ্য দিল্লি এতো সহজে পাড়ি দিয়েছে ফিলিপ সল্টের বদৌলতে। ৪৫ বলে ৮৭ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন এই ইংলিশ ব্যাটার। তাকে সঙ্গ দিয়েছে এদিন দলের বাকিরাও। তবে কেউ ইনিংস বড় করতে পারেনি।
উদ্বোধনী জুটিতে ডেভিড ওয়ার্নারের সাথে মিলে ফিল সল্ট স্কোরবোর্ডে তোলেন ৫.১ ওভারে ৬০ রান। দিল্লির অধিনায়ক ওয়ার্নার আউট হন ১৪ বলে ২২ রান করে। তবে আরেক অজি ক্রিকেটার মিচেল মার্শ রান বাড়াতে থাকেন সল্টের পাশে দাঁড়িয়ে। দুজনে মিলে পুরোদস্তুর তুলোধোনা করেন ব্যাঙ্গালুরুর বোলারদের।
এই জুটিতে ৩২ বলে ৫৯ রান আসলে মার্শ ফিরেন ১৭ বলে ২৬ রান করে। তবে তাতেও পথ হারায়নি দিল্লি, শুরুর ছন্দ ধরে রাখে তৃতীয় উইকেট জুটিতেও। রাইলি রুশোর সাথে ফিলিপ সল্ট গড়েন ৫২ রানের ঝড়ো জুটি। যেই জুটিতে ভর করে হেসেখেলেই জয় পেয়েছে দিল্লি।
শেষদিকে সল্ট আউট হয়ে গেলেও দিল্লিকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রুশো। এই প্রোটিয়া ব্যাটার ২২ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। অক্ষর প্যাটেল অপরাজিত থাকেন ৩ বলে ৮ রানে।
এর আগে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বেঙ্গালুরু। ব্যাট হাতে নেমে দলকে দারুণ শুরু এনে দেন বিরাট কোহলি ও ফাফ ডু প্লেসি। এই দুজনের ওপেনিং জুটিতে ১০.৩ ওভারে ৮২ রান আসে স্কোরবোর্ডে। ৩২ বলে ৪৫ রান করে ডু প্লেসিস মিচেল মার্শের শিকার হলে ভাঙে এই জুটি। পরের বলেই গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েলকেও শূন্য রানে ফেরান মার্শ।
এরপর বেঙ্গালুরুর ইনিংস টানেন কোহলি ও মহিপাল লমরোর। যদিও কোহলি খেলতে থাকেন ধীর গতির, এক পর্যায়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে তিনি আউট হন ৪৬ বলে ৫৫ রান করে। এরপর দীনেশ কার্তিক ১১ রান করে দ্রুত ফিরলেও ২৯ বলে অপরাজিত ৫৪ রানের ইনিংস খেলে ব্যাঙ্গালুরুকে বড় সংগ্রহ এনে দেন লমরোর। ৪ উইকেটে ১৮১ রান তুলে ব্যাঙ্গালুরু। ৩ বলে ৮ রান করে অপরাজিত থেকেছেন অনুজ রাওয়াতও।
এই জয়ে প্লে অফের স্বপ্ন এখনো টিকে রইল দিল্লির। ১০ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট তাদের। যদিও তারা রয়েছে তালিকার ৯ নম্বরে, তবে চার নম্বরে থাকা রাজস্থান রয়্যালসের সাথে তাদের পয়েন্টের ব্যবধান মাত্র ২।