জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার সৌম্য সরকার গতকাল বুধবার মহা ধুমধামে বিয়ে করেন।তবে খুলনা ক্লাবে তার বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে চুরি হয়ে যায় সাতটি মোবাইল ফোন। পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
বুধবার খুলনা ক্লাবে ঢোকার সময় প্রচণ্ড ভিড়ের মুখে পড়েন সৌম্য সরকারের বিয়ের বরযাত্রী। আর এই ভিড়ের মধ্যেই খোয়া যায় সৌম্য সরকারের বাবা কিশোরীমোহন সরকার, দীনবন্ধু মিত্রসহ সাতজনের মোবাইল ফোন।
এ সময় হারিয়ে যাওয়া একটি মোবাইলে ফোন দিয়ে এক চোরকে হাতেনাতে ধরে ফেলা হয়। পরে তাকে তল্লাশি করে পাঁচটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়।
খুলনা ক্লাব কর্তৃপক্ষকে মোবাইল চুরি ও চোর ধরার বিষয়টি অবহিত করেন সৌম্যর ভাই প্রণব সরকার। আর এরপরই বাধে বিপত্তি।
প্রণব সরকার অভিযোগ করেন, খুলনা ক্লাবের লোকজন মোবাইল চুরি হওয়ার বিষয়টি নিজেদের ঘাড়ে নিয়ে নেন। এরপর তারা বরপক্ষের ওপর চড়াও হন এবং অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন।
তবে খুলনা ক্লাবের ডেপুটি সেক্রেটারি সেফগাতুল ইসলাম বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘চোর ধরা পড়ার পর আমরা চেয়েছিলাম তাদের আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হোক। আমরাই তাদের পুলিশে দিতে চেয়েছিলাম।’
এ ব্যাপারে খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম বাহার বলেন, ‘মোবাইল চুরিকে কেন্দ্র করে খুলনা ক্লাবের স্টাফ ও বরযাত্রীদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। সেখানে কাউকে মারধরের ঘটনা ঘটেনি, তবে ভিড়ের মধ্যে কারও গায়ে একটু ধাক্কা লাগতে পারে। দুই চোরকে আটক করে থানায় রাখা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। ’