সাকিব-শান্তর দেখানো পথে হাঁটলেন মো: তৌহিদ হৃদয়। ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ তিনিও। ভালো শুরুর পরও পূর্ণতা দিতে পারেননি ইনিংসটা, তুলতে পারেননি তৃপ্তির ঢেঁকুর। ৩১ বলে ২৭ রান করে ফেরেন তিনি। দলীয় সংগ্রহ তখন ২৬.৩ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১২২। এর আগে একই অপরাধের অপরাধী নাজমুল হোসেন শান্ত। শুরু থেকেই একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলে আসা শান্ত যখন অশান্ত হতে শুরু করবেন, তখনই আউট হন তিনি। অবশ্য খেলেছেন ৬৬ বলে ৪৪ রানের ইনিংস।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। দ্রুত ফিরে যান দলের উভয় ওপেনার। তামিম ইকবাল কিংবা লিটন দাস, কেউ দিতে পারেননি আস্থার প্রতিদান। ৩.৫ ওভারে মাত্র ১৫ রানে তাদের দু’জনকে হারায় টাইগাররা।
মঙ্গলবার চেমসফোর্ডের কাউন্টি গ্রাউন্ডে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি টেকে মাত্র ৪ বল। প্রথম ওভারেই জশুয়া লিটলের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফেরেন লিটন দাস। গোল্ডেন ডাক মারেন তিনি।
তামিম শিকার হনমার্ক অ্যাডায়ারের। ১৯ বলে ১৪ রান করা তামিমকে চতুর্থ ওভারে লরকান টাকারের ক্যাচ বানান তিনি। ১৫ রানে ২ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসান।
তবে পাওয়ার প্লে থেকে ফিরে পরের ওভারেই ফেরেন সাকিব। দলের হাল ধরতে ব্যর্থ হন তিনি। ভালো শুরু পেয়েও ইনিংসটা তার থেমেছে ২১ বলে ২০ রানে। তার বিদায়ে ৫২ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশের। যা বিপদের মুখে ফেলে দেয় দলকে।
যদিও এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ও তরুন তৌহিদ হৃদয় চেষ্টা করছেন ইনিংস মেরামতের। ৬৪ বলে ৫০ রান যোগ হয় দু’জনের জুটি থেকে। দলীয় ১০২ রানে শান্ত ও আরো ২০ রান যোগ করে ফেরেন তৌহিদ হৃদয়।
৩১.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৫৫ রান। মুশফিকুর রহিম আছেন ২৫ রানে এবং মেহেদী মিরাজ ১৯ রানে।