আজ শুক্রবার মাঠে নামছে বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টাইগারদের প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডের কাউন্টি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে মুখোমুখি হবে দুই দল। লড়াই শুরু হবে বিকেল ৩:৪৫ টায়। সিরিজের প্রথম ওয়ানডে বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ায় দুই দলের সামনেই রয়েছে এই ম্যাচ জিতে সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ।
গত ৯মে একই মাঠে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে খেলতে নেমেছিল দুই দল। যেখানে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। কালো মেঘ মাথায় নিয়েই সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ২৪৬ রান। বিপরীতে আইরিশরা ৩ উইকেট হারিয়ে ১৬.৩ ওভারে ৬৩ রান তুলতেই শুরু হয় বৃষ্টি। একটা সময় বৃষ্টি থামলেও ভেজা মাঠে আর খেলা চালানো সম্ভব হয়নি। পরিত্যক্ত হয় ম্যাচ।
সেই ম্যাচে ফলাফল না আসলেও পুরো ইনিংস ব্যাট করতে পেরেছিল টাইগাররা। তবে আশানুরূপ পারফর্ম করতে পারেননি মুশফিকুর রহিম ছাড়া বাকিরা। সবাই ভালো শুরু করেছিলেন বটে, তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি কেউ। ফলে বিষয়টা নিয়ে বেশ ভাবনায় টাইগার ক্রিকেট ম্যানেজমেন্ট।
তাছাড়া ইংল্যান্ডের বিষাক্ত বাউন্সি পিচ তো আছেই, ভাবাচ্ছে আরো একটা বিষয়ও। ভাবনার নাম টপ অর্ডার। ইংল্যান্ড সফরটা লিটন দাসের ভুলে যাবার মতো গেলেও দেশের মাটিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ছিলেন দূর্দান্ত। তবে চেমসফোর্ডে প্রথম ওয়ানডে থেকে ফেরেন ০ রানে৷ বিপরীতে আরেক ওপেনার তামিম ইকবালের অফ ফর্মও মাথা ব্যথার কারণ।
এদিকে কপাল পুড়েছে আয়ারল্যান্ডের। ভারত বিশ্বকাপে সরাসরি আর খেলা হচ্ছেনা তাদের। এই সিরিজে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করার বিকল্প ছিল না আইরিশদের সম্মুখে, কিন্তু বৃষ্টির কারণে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে পরিত্যক্ত হওয়ায় ওই সুযোগ আর পাচ্ছে না অ্যান্ড্রু বালবির্নির দল। তাদের বদলে সুযোগ মিলল দক্ষিণ আফ্রিকার। আয়ারল্যান্ডকে তাউ খেলতে হবে বাছাইপর্ব।
যাহোক, সব মিলিয়ে দুইদল মুখোমুখি হয়ে ওয়ানডে খেলেছে ১৪ বার। যেখানে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় নয়টি ম্যাচেই, দুটি ম্যাচে জয় পায় আয়ারল্যান্ড; বাকি তিনটি ম্যাচ পরিতক্ত। আইরিশএয়া সর্বশেষ বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে জিতেছিল তারা ২০১০ সালে, বেলফাস্টে।