ভারতের রাজধানী দিল্লির অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির জন্য শাসক শিবির কখনো পাকিস্তান গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই – এর হাত দেখছে , কখনো পাকিস্তানি মদদপুষ্ট ইসলামি জঙ্গি সংগঠনের কারসাজি দেখছে। কিন্তু স্থানীয় মানুষজন সাক্ষী থাকছেন ‘হিন্দুয়োকা হিন্দুস্তান ’ আর ‘জয় শ্রীরাম ’ ধ্বনির সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর আকাশে কালো ধোঁয়া পাকিয়ে উঠছে, তখনো এর পিছনে ইসলামি জঙ্গিদের তত্ত্ব থেকে সরতে দেখা যায়নি গেরুয়া শিবিরের নেতাদের। আর তারই মাঝে জাফরাবাদ এলাকায় বন্দুক উঁচিয়ে সংঘর্ষে নেতৃত্ব দেয়া তরুণকে আটক করে পুলিশ জানতে পারে তার নাম শাহরুখ। তখন তো সব রহস্যের জট একেবারে জলকে জল , পানিকে পানি। কিন্তু না, পুলিশের হাতে ধৃত শাহরুখ মোটেই মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত নয়। তার আসল নাম শাহরুখ চন্দ্রাল শুক্লা, আদতে উত্তরপ্রদেশীয় ব্রাহ্মণ সন্তান। বরাবরই কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর কাছের মানুষ।
দিন কয়েক ধরে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে ওঠে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, উল্টোদিক থেকে ঝাকে ঝাকে ইট উড়ে আসছে। আর ঠিক চোখের সামনে থেকে বন্দুক উঁচিয়ে আস্ফালন করছে এক যুবক। দেখে বোঝা যায়, পাথরবাজদের কার্যত সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে মেরুন শার্ট পরিহিত ওই যুবক। এমনকী এক পুলিশকর্মীকে একা পেয়ে ওই যুবক তার মুখের কাছে বন্দুক তাক করেছিল। তারই গুলিতে প্রাণ গেছে এক পুলিশকর্মীর। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০০ জন।
বেপরোয়াভাবে গুলি চালাতে চালাতে ওই যুবক যখন ক্রমাগত হুমকি দিতে দিতে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখনই রাস্তার ডিভাইডার টপকে, তাকে ধরতে এগিয়ে যান দিল্লি পুলিশের হেড কনস্টেবল রতনলাল। এর পরের দৃশ্য চমকে যাওয়ার মতো। মুহূর্তের মধ্যে রতনলালকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় নীল জিনস ও কালচে মেরুণ শার্ট পিরিহিত ওই যুবক। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই ওই পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়। ওইদিন রাত ১০টা নাগাদ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। প্রথমে জানা যায়, ওই যুবকের নাম মুহাম্মদ শাহরুখ। পরে জানা যায় তার আসল পরিচয়। সে থাকে দিল্লির সাহাদারা অঞ্চলে। আসল নাম চন্দ্রাল শুক্লা। ডাক নাম শাহরুখ।
সূত্র : টিডিএন