করোনাভাইরাসে ইরানে অন্তত ২১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি। মৃতদের বেশির ভাগই রাজধানী তেহরান ও দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কোমের বলে জানিয়েছেন তারা। তেহরান থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরের এই কোম শহরেই ইরানের প্রথম কভিড-১৯ রোগীর দেখা মিলেছিল। বিবিসি বলছে, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর কাছ থেকে পাওয়া মৃতের এ সংখ্যা দেশটির সরকারের জানানো সংখ্যার ৬ গুণেরও বেশি।
গতকাল শনিবার ইরানি কর্তৃপক্ষ তাদের দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৪৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কিয়ানুশ জাহানপুর বলেছেন, প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে তারা স্বচ্ছতা বজায় রাখছেন এবং কোনো ধরনের লুকোচুরি করছেন না। বিবিসির বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা প্রচারের’ অভিযোগও তুলেছেন তিনি।
এ দিকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্বাস মুসাভি যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্যপ্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইরানে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় এমন একটি দেশ সাহায্য করতে চাইছে যারা তাদের অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে আমাদের ওপর ভয়াবহ চাপ সৃষ্টি করেছে। এমনকি চিকিৎসাসরঞ্জাম ও ওষুধ ক্রয়ের ওপরও তাদের নিষেধাজ্ঞা আছে, এটি অগ্রহণযোগ্য ও রাজনৈতিক-মনস্তাত্ত্বিক খেলা।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসান নামাকি গতকাল থেকে দেশটির সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অন্তত তিন দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের জন্য তুলনামূলক কঠিন একটি সপ্তাহ আসছে। যা গতি, তাতে আগামী সপ্তাহ এবং তার পরবর্তী দিনগুলোতে সংক্রমণ পরিস্থিতি সর্বোচ্চ শিখরে থাকতে পারে।’
তেহরান শহর কর্তৃপক্ষের এক সদস্য বার্তা সংস্থা ইলনাকে বলেছেন, সামনের সপ্তাহগুলোতে ইরানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ থেকে ১৫ হাজারে পৌঁছতে পারে বলেও তারা আশঙ্কা করছেন। সূত্র : বিবিসি ও আলজাজিরা।