মরশুমের প্রথমদিকে টানা ম্যাচ হারের পরেও দুরন্ত প্রত্যাবর্তন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। এবারের আইপিএলে লিগ পর্যায়ের একেবারে শেষে প্লে অফে উঠেছিল রোহিত ব্রিগেড। কিন্তু নক আউট পর্বে স্বমেজাজে আইপিএলের সফলতম দল। ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়ে লখনৌয়ের ট্রফি জয়ের স্বপ্ন চূর্ণ করে দিলো মুম্বই। মাত্র পাঁচ রানে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের নায়ক তরুণ পেসার আকাশ মাধওয়াল। পরপর দু’বার প্লে অফে উঠেও আইপিএল ট্রফি অধরাই রইল লখনৌ সুপার জায়ান্টসের। বুধবার প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মুম্বাই করেছিল ৮ উইকেটে ১৮২ রান। জবাবে লখনৌ অল আউট হয়ে যায় ১০১ রানে। ফলে মুম্বাই জয় তুলে নেয় ৮১ রানে।
আইপিএলের প্লে অফে অধিনায়ক রোহিতের রেকর্ড অসাধারণ। ১৩ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে মাত্র তিনবার হেরেছেন। চেন্নাইয়ের মাঠে তার স্ট্র্যাটেজিরই জয় হবে, এমনটাই ধরে নিয়েছিল ক্রিকেটমহল। বুধবারের এলিমিনেটরে ঠিক সেটাই হল। টস জিতে রানের পাহাড় গড়ে প্রতিপক্ষকে কাবু করে দেওয়ার পথেই হাঁটলেন সূর্যকুমার যাদবরা। চার উইকেট তুলে ম্যাচের মোড় ঘোরানোর চেষ্টা করেছিলেন চলতি আইপিএলের বিতর্কিত চরিত্র নবীন উল হক। তবে লখনউয়ের বিদায় নিশ্চিত করলেন আকাশ মাধওয়াল।
টসে জিতে ব্যাটিং নিলেও এদিন মুম্বইয়ের শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি। মাত্র ৩৮ রানের মাথায় দুই উইকেট চলে যায় তাদের। ব্যাট হাতে ফের ব্যর্থ রোহিত। সেই ধাক্কা সামলে ৬৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েন সূর্যকুমার যাদব ও ক্যামেরন গ্রিন। তবে নবীনের এক ওভারে আউট হয়ে যান দুজনেই। সেখানে অবশ্য রানের গতি বেশ খানিকটা কমে যায়। শেষের দিকে দুরন্ত ক্যামিও ইনিংস খেলেন ফর্মে থাকা নেহাল ওয়াধেরা। ১৮২ রানে শেষ হয় মুম্বই ইনিংস।
তবে লখনোয়ের ব্যাটারদের কাছে ১৮৩ রানের টার্গেটই খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। দ্বিতীয় ওভার থেকেই আউট হতে শুরু করেন দলের ব্যাটাররা। মুম্বই পেসারদের বিরুদ্ধে একেবারে আত্মসমর্পণ করলেন কাইল মেয়ার্স-ক্রুণাল পাণ্ডিয়ারা। একা মার্কাস স্টইনিস চেষ্টা করলেও কাজে আসেনি তার ৪০ রানের লড়াকু ইনিংস। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় শেষ হল লখনউয়ের ট্রফি জয়ের স্বপ্ন। ৮১ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতে টুর্নামেন্টে এখণৈঅ ভেসে রইল মুম্বই। আগামী শুক্রবার গুজরাট টাইটান্সের মুখোমুখি রোহিতরা। সেই ম্যাচ জিতলেই সোজা ফাইনালে মুম্বই, ষষ্ঠবার ট্রফি জয়ের লক্ষ্যে।