সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, পাহাড়ে সন্ত্রাসী অপতৎপরতা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত সেনা অভিযান অব্যাহত থাকবে। ইতোমধ্যে কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) মূল ঘাটসহ অধিকাংশ আস্তানা সেনাবাহিনী দখল করে নিয়েছে। খুব শিগগিরই চূড়ান্ত সফলতা অর্জন করা যাবে। সেই সাথে কোনো সন্ত্রাসী যদি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায় তবে তাদের স্বাগত জানানো হবে। শান্তিতে যে সমস্যার সমাধান সম্ভব তার জন্য আমরা সংঘাতে কেনো যাবো।
রোববার (৪ জুন) দুপুরে বান্দরবান সেনানিবাসে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং-২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এরিয়া মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, রামু সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল মাসুদুর রহমান, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান, বান্দরবানের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দীন আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা।
এর আগে, বান্দরবান সেনানিবাসে সৈনিক ও কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন সেনা প্রধান।
সেনা প্রধান বলেন, সেনাবাহিনী খুবই মানবিক। এ কারণে শান্তিরক্ষা মিশনে ১ নম্বর অবস্থানে রয়েছে। কোনোভাবে সেনাবাহিনী কোনো জায়গায় মানবাধিকার লঙ্ঘন করেনি। আমরা মাঠ পর্যায়ে অভিযানের সফলতা দেখতে এসেছি। আমি খুবই আশাবাদী অনেক সফলতা অর্জন হয়েছে। পাহাড়ে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি প্রশাসন বিজিবি পুলিশসহ অন্য বাহিনী রয়েছে। সবাই যার যার অবস্থানে থেকে সন্ত্রাসী অপতৎপরতা দমনে ভূমিকা রাখছে।
তিনি জানান, পাহাড়ে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সীমান্ত সড়ক ভালো ভূমিকা রাখবে। দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পার্বত্য অঞ্চল বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। এ লক্ষ্যে সেনাবাহিনী সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।