সুপার সিক্সের টিকিট আগেই নিশ্চিত হয়েছে জিম্বাবুয়ের। তাই আমেরিকার বিরুদ্ধে লিগের শেষ ম্যাচটি তাদের কাছে নিছক নিয়ম রক্ষার লড়াই হিসেবে বিবেচিত হওয়াই স্বাভাবিক। ক্রেগ আরভাইনের বদলে জিম্বাবুয়েকে এদিন নেতৃত্ব দিতে নামেন শন উইলিয়ামস। ব্যাট হাতে যেভাবে সামনে থেকে লড়াই চালান তিনি, তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে সন্দেহ নেই।
হারারেতে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে জিম্বাবুয়ে। দলগত ৫৬ রানের মাথায় ওপেনার ইনোসেন্ট কাইয়া আউট হওয়ার পরে ব্যাট হাতে মাঠে নামেন উইলিয়ামস। ক্রিজে পৌঁছনোর পরেই রীতিমতো ঝড় তোলেন তিনি। ৭টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ৩৩ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শন। তিনি ১১টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ৬৫ বলে ব্যক্তিগত শতরানের গণ্ডি টপকে যান।
চলতি টুর্নামেন্টেই নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ৫৪ বলে সেঞ্চুরি করে ইতিহাস গড়েন সিকন্দার রাজা। জিম্বাবুয়ের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে সব থেকে কম বলে শতরান করার রেকর্ড গড়েন তিনি। উইলিয়ামস এদিন জিম্বাবুয়ের হয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম শতরান করার নজির গড়েন।
শন ১৯টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৮৭ বলে ব্যক্তিগত ১৫০ রানের গণ্ডি টপকে যান। শেষমেশ ২১টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ১০১ বলে ১৭৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন উইলিয়ামস। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটিই তার সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।
জিম্বাবুয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ৪০৮ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এই প্রথম ৪০০ রানের গণ্ডি টপকায় তারা। এর আগে এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ দলগত ইনিংস ছিল ২০০৯ সালে কেনিয়ার বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে ৩৫১ রানের।
উইলিয়ামসের শতরান ছাড়া আমেরিকার বিরুদ্ধে জয়লর্ড ৭৮, সিকন্দার রাজা ৪৮, রায়ান বার্ল ৪৭ ও ইনোসেন্ট কাইয়া ৩২ রান করেন।