জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ বলেছেন, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে বাংলাদেশের জনগণ স্বাগত জানাবে। শনিবার রাত সোয়া আটটায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে রওশন এরশাদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদ-প্রতিরোধের ডাক না দিয়ে দেশবাসীকে স্বাগত জানানোর আহ্বান জানান।
দিল্লির সাম্প্রতিক ঘটনার উল্লেখ করে রওশন এরশাদ বলেন, ‘মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে দিল্লির ঘটনায় বাংলাদেশে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে, এ কথা সত্য। কিন্তু বিশ্ব মানবতার প্রতি বরাবরের মতো আস্থা রেখে আমাদের ধৈর্য ধারণ করা উচিত। নরেন্দ্র মোদির সফরকে ধর্মীয় অনুভূতির সঙ্গে মিলিয়ে প্রতিবাদ-প্রতিরোধের ডাক না দিয়ে আমাদের উচিত হবে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে পরীক্ষিত বন্ধু ভারতের সরকারপ্রধানকে স্বাগত জানানো।’
সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, কোনো একটি দিক বিবেচনায় নিয়ে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক নির্ধারিত হয় না। যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সার্বিক পরিবেশ ও ভূরাজনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
তিনি বলেন, ‘দিল্লির সাম্প্রতিক ঘটনায় ভারতের বিবেকবান মানুষ দল-মত, ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে এবং মুসলমানদের সুরক্ষায় এগিয়ে এসেছে। বিষয়টি আমাদের মনে রাখতে হবে। নরেন্দ্র মোদি কোনো দলীয় প্রধান হিসেবে বাংলাদেশ সফর করছেন না, বরং তিনি বন্ধুপ্রতিম ভারত রাষ্ট্রের সরকারপ্রধান হিসেবে বাংলাদেশ সফর করছেন।’
রওশন এরশাদ বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি আমাদের সম্মানিত রাষ্ট্রীয় অতিথি, মুক্তিযুদ্ধের প্রধান মিত্র ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে যোগ দিচ্ছেন। তার এই সফর উষ্ণ ও আন্তরিকতাপূর্ণ হবে এবং বাংলাদেশের জনগণ মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান ও বন্ধনকে ভালোভাবে নেবে। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে বাংলাদেশের জনগণ স্বাগত জানাবে।’
বিবৃতিতে রওশন এরশাদ অতিথিপরায়ণতার সুনাম অক্ষুণ্ন রেখে মানবতার পরিচয় তুলে ধরতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।