তামিমের বিধ্বংসী ফিফটি আর সাকিবের চার উইকেটে সেমিফাইনাল স্বপ্ন বেঁচে রইলো বাংলাদেশের। ইমার্জিং এশিয়া কাপে প্রথম জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ওমানকে হারিয়েছে ৮ উইকেটে।
শনিবার (১৫ জুলাই) কলম্বোর সিংহলিজ ক্লাব মাঠে টস জিতে ওমানকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক সাইফ হাসান। আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৫.৬ ওভারে ১২৬ রানে গুটিয়ে যায় দলটি। বল হাতে মাত্র ১৮ রানে ৪ উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে তানজিদ হাসান তামিমের ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরিতে ১৬.৩ ওভারই ১২৭ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। তামিম আউট হন ৪৯ বলে ৬৮ রান করে। ৪২ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন নাইম শেখ।
আউট হবার আগে উদ্বোধনী জুটিতে দলকে তিন অংকের ঘরে পৌঁছে দেন তামিম। নাইম শেখকে নিয়ে গড়েন ১০৯ রানের জুটি। আসরে টানা দ্বিতীয় অর্ধশতক তুলে নেন তামিম, আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও খেলেছিলেন ৫১ রানের ইনিংস। যদিও সেদিন দলকে জেতাতে পারেননি।
আজ তামিমের সামনে সুযোগ ছিল অপরাজিত থেকে ম্যাচ শেষ করে আসার। তবে তা আর হয়নি, ১৫তম ওভারে ৪৯ বলে ১১ চার এবং ২ ছক্কায় ৬৮ রান করেন তিনি। তিনে নামা সাইফ হাসান ফেরেন দ্রুত, কোনো রান না করেই বিদায় নেন তিনি।
তবে জাকির হাসানকে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন নাইম। আফগানিস্তানের বিপক্ষে জাতীয় দলের হয়ে দুই ওয়ানডে খেলেও ছন্দহীন থাকা এই ওপেনার ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন। জাকির অপরাজিত থাকেন ৬ বলে ১১ রানে।
এর আগে ব্যাট করতে শুরুটা একদমই সুখকর হয়নি ওমানের। দলীয় ৯ রানের মাথায় ২ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। তবে শুরুর বিপর্যয় থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন ওপেনার কাশ্যাপ প্রজাপতি এবং আয়ান খান। তবে তাদের ৪৫ রানের জুটিতে ফাটল ধরান রাকিবুল হাসান।
৪৭ বলে ২৬ রান করা আয়ানকে বোল্ড করেন রাকিবুল। পরের ওভারে এসে প্রজাপতিকে ফেরান মাহেদি হাসান। ৫০ বলে ২২ রান আসে প্রজাপতির ব্যাট থেকে। ৫৪ রানে ৪ উইকেট হারায় ওমান। এরপর শুভ পল ও শোয়েব খান মিলে আরো ৪৫ রানের জুটি গড়লেও দলীয় রান ৯৯ রানে ফেরেন শোয়েব।
১১৫ রানের মাথায় আরো দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে ওমান। এরপর ১২২ রানে আবারো দুই উইকেট হারায় দলটি। শেষ পর্যন্ত ১২৬ রানে অল আউট হয় ওমান। সাকিবের ৪ উইকেট ছাড়াও ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মাহমুদুল হাসান ও রাকিবুল হাসান। ১টি করে উইকেট দখল করেছেন রিপন মন্ডল এবং শেখ মাহেদি।