শিরোপা জিততে ভারতকে পাহাড়সম লক্ষ্য দিলো পাকিস্তান। ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে বেশ বড় সংগ্রহ পেয়েছে মোহাম্মদ হারিসের দল। পাকিস্তানের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৩৫২ রান। সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন তায়্যিব তাহির। জোড়া ফিফটি হাঁকিয়েছেন শাহিবজাদা ফারহান আর সাইম আইয়ুব।
রোববার কলম্বোতে মুখোমুখি হয়েছে দু’দল। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে ভারতকে কড়া চ্যালেঞ্জেই ফেলে দিয়েছে পাকিস্তান এ দল। শ্রীলঙ্কায় ইমার্জিং এশিয়া কাপে ভারতকে ৩৫৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছে তারা। যার ভিত গড়ে দেয় উদ্বোধনী জুটি। সাইম ও শাহিবজাদা মিলেই দলকে তিন অংকের ঘরে পৌঁছান। ১৭.২ ওভারে সাইম যখন আউট হন, দলের সংগ্রহ ১২১ রান!
ফেরার আগে অর্ধশতক পূরণ করন সাইম আইয়ুব, খেলেন ৫১ বলে ৫৯ রানের ইনিংস। ইনিংসটা বড় করতে পারেননি ফারহানও, ফিফটি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাকে। আউট হন ৬২ বলে ৬৫ রান করে। তিনে নামা ওমর সাইফ ৩৫ বলে ৩৫ করে যখন ফেরেন, পাকিস্তানের সংগ্রহ তখন ২৭.১ ওভারে ১৮৩।
ওমর ফেরার পর দ্রুত আরো দুটো উইকেট হারায় পাকিস্তান, জোড়া উইকেট হারিয়ে মুহূর্তেই স্কোরবোর্ড পরিণত হয় ২৮.৪ ওভারে ১৮৭/৫। একপাশে দাঁড়িয়ে এতক্ষণ সতীর্থদের আশা-যাওয়া দেখছিলেন তাহির। তবে এরপর ইনিংস টেনে নেয়ার দায়িত্ব তুলে নেন নিজের কাঁধে, হাল ধরেন দলের।
মুবাশ্বির খানের সাথে ষষ্ঠ উইকেটে যোগ করেন ৯৮ বলে ১২৬ রান! যেখানে মুবাশ্বিরের অবদান ৪৪ বলে মাত্র ৩৩, বিপরীতে ৫৩ বলে ৯২ রান যোগ করেন তাহির! ততক্ষণে ছুঁয়ে ফেলেছেন শতকও, মাত্র ৬৬ বলে তিন অংকের ঘরে পৌঁছান তিনি। আউট হন ৭১ বলে ১২ চার ও ৪ ছক্কায় ১০৮ রান করে। দলের সংগ্রহ তখন ৪৫ ওভারে ৩১৩/৬।
মুবাশ্বির আউট হন ৪৭ বলে ৩৫ রান করে। তব শেষদিকে ওয়াসিম জুনিয়রের ১০ বলে ১৭*, মেহরানের ১৩ রানে ভর করে সাড়ে তিন শ’র গণ্ডি পাড়ি দেয় পাকিস্তান। ৮ উইকেট হারিয়ে করে ৩৫২ রান। দুটো করে উইকেট পেয়েছেন রাজাবন্ধন ও রায়ান পরাগ।