জাতীয় দলের খেলা নেই, তবুও সমর্থকদের ব্যস্ততার কমতি নেই। তাদের চোখ এখন বিখ্যাত অ্যাশেজ সিরিজের পাশাপাশি বিভিন্ন ফ্রাঞ্চাইজি লিগে। যেখানে প্রতিনিধিত্ব করছেন দেশের একাধিক তারকা ক্রিকেটার।
জিম আফ্রো টি-টেন ও গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে গতরাতে মাঠে নেমেছিলেন সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তাসকিন আহমেদ ও লিটন দাস। জিম-আফ্রো লিগে মুশফিক, তাসকিন আলো ছড়ালেও গ্লোবাল লিগে সাকিব ম্লান ছিলেন, লিটন দাস আবারো হতাশ করেছেন।
ডারবান কালান্দার্সের দেয়া ১২১ রানের লক্ষ্যে জয়ের জন্য মুশফিকের দল জোবার্গের প্রয়োজন ছিল ৫ বলে প্রয়োজন ২০ রান। ১ বলে ১ রানে অপরাজিত থাকা মুশফিক তখন টানা ৪ বলে হাঁকান বাউন্ডারি। ফলে শেষ বলে সমীকরণ ১ বলে ৪! তবে বলটিতে ১ রানের বেশি নিতে পারেননি মুশফিক, ২ রানে হেরে যায় তার দল।
একইদিনে গভীর রাতে মুশফিকের জোবার্গ মুখোমুখি হয় তাসকিনের বুলাওয়ে ব্রেভসের বিপক্ষে। এবার অবশ্য জয়ের মুখ দেখে তার দল। ব্যাট হাতে ১১ বলে ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক। বিপরীতে তাসকিন ২ ওভার বল করে কোনো উইকেটের দেখা না পেলেও মাত্র ৭ রান দেন।
এই আসরে এখন পর্যন্ত দারুণ করছেন মুশফিক-তাসকিন। ৫ ম্যাচে ১১২ রান করেছেন মুশফিক ১১২ গড়ে, ১৭২.৩১ স্ট্রাইকরেটে! বিপরীতে প্রতিটি ম্যাচেই গড়ে অর্ধেকেরও বেশি ডটবল করছেন তাসকিন, সংখ্যাটা ৫৮% শতাংশ। ৫ ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়েছেন ৬.৫০ ইকোনমিতে।
এদিকে আগের দুই ম্যাচে অসাধারণ পারফরম্যান্স করা সাকিব এইদিন ছিলেন না স্বরূপে। বল হাতে ৪ ওভারে দশের বেশি গড়ে দেন ৪১ রান। যদিও ব্যাট হাতে দারুণ শুরু পেয়েছিলেন। তবে দলের রান বাড়াতে গিয়ে থামে ৮ বলে ১২ রানে। যদিও তার দল মন্ট্রিয়াল টাইগার্স টানা তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে।
এদিকে প্রথম ম্যাচের পর নিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি লিটন দাস। আবারো ভালো সূচনার পর করেছেন হতাশ। ইনিংস বড় করার সুযোগ পেয়েও ভুল শট খেলে ফেরেন ২০ বলে ২১ রানে। যদিও তার দল সারে জাগুয়ার্স জয় তুলে নিয়েছে।