বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আগামীকাল রোববার (৩০ জুলাই) সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।
শনিবার (২৯ জুলাই) দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ঘোষণা দেন।
এসময় তিনি বলেন, যা আশঙ্কা করেছিলাম সেটাই এখন সত্যি হলো। তাদের আন্দোলনের এক দফা হলো অগ্নিসন্ত্রাস। ২০১৩/১৪ সালের নৃশংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি শুরু হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির এই আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আগামীকাল ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণসহ সারাদেশে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করবে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করে দিয়েছে। আজ মাতুয়াইলে পুলিশের সাথে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষ করে। চারটি বাসে আগুন দেয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পুলিশের ভ্যানে হামলা করে ভাঙচুর করে। রাজধানীতে মোট সাতটি বাসে হামলা চালায়, ভাঙচুর ও অগ্নিসন্ত্রাস করে। পুলিশ সদস্যদের আহত করেছে, এমনকি হাতের কবজি পর্যন্ত কেটে নিয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বলে তাদের বাধা দেয়া হয়েছে। ঢাকা শহরের ঢোকার পথ- এটা কি তারেক রহমানের বাপ-দাদার সম্পত্তি? লন্ডন থেকে আদেশ দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেবে এটা কোন ধরনের রাজনীতি?
তিনি বলেন, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু শান্তিপূর্ণ সে নির্বাচনে প্রধান বাধা বিএনপি। সেটা আজ প্রমাণ হলো।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণভবন থেকে শেখ হাসিনাকে না হটিয়ে তারা অবস্থান থেকে সরবে না। এটাই তাদের লিডার তারেক রহমান লন্ডন থেকে নয়াপল্টনে ভিডিওতে নির্দেশনা দিয়েছে। কোনো ফোরামে তার ভাষণ-বিবৃতি প্রচার করা যাবে না, এরপরও বারে বারে কেন লঙ্ঘিত হচ্ছে? আদালতের আদেশ প্রতিনিয়ত লঙ্ঘন করে চলেছে দুর্বৃত্ত তারেক রহমান। আদালত অবমাননা করছে প্রতিনিয়ত। সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টকে গালিগালাজ করছে তারেক রহমান। এর কি বিচার নেই, প্রতিকার নেই। তারেক রহমান কি আইনের ঊর্ধ্বে? আইনকে কটাক্ষ করে, প্রশ্নবিদ্ধ করে, এই দল সন্ত্রাসী দল।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস আমরা রুখব এবং এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে।
এসময় ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকেরা, ঢাকা মহানগরের অন্তর্গত দলীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে জরুরি যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড.আব্দুর রাজ্জাক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত মুহাম্মদ ফারুক খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারসহ অন্য নেতারা।
সূত্র : ইউএনবি