মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৮ অপরাহ্ন

সেই ও. ইন্ডিজের কাছে শোচনীয় হার ভারতের

এনবিডি নিউজ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৩০ জুলাই, ২০২৩
  • ৬০ বার

প্রথম এক দিনের ম্যাচের পরে মনে হয়েছিল, হাসতে হাসতে সিরিজ জিতবে ভারত। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেই মুখ থুবড়ে পড়ল তারা। প্রথমে বল হাতে দাপট দেখালেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারেরা। একমাত্র রান পেলেন ঈশান কিশন। অর্ধশতরান করলেন তিনি। ১৮২ রান তাড়া করতে নেমে শার্দূল ঠাকুরের বলে মাঝে খেই হারালেও শেষ পর্যন্ত জিতে মাঠ ছাড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শনিবার ৬ উইকেটে ভারতকে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল তারা। অর্ধশতরান করলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক শাই হোপ। এক দিনের বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই দলের কাছেই হারতে হল ভারতকে।

এক দিনের বিশ্বকাপের আগে দলের রিজার্ভ বেঞ্চকে দেখে নেয়ার জন্য দ্বিতীয় ম্যাচে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলিকে বিশ্রাম দিয়েছিল ভারত। বদলে সুযোগ পেয়েছিলেন সঞ্জু স্যামসন ও অক্ষর পটেল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার ঈশান কিশন ও শুভমন গিল খুব ভালো শুরু করেন। সাবলীল ব্যাটিং করছিলেন তারা। বেশি আক্রমণাত্মক দেখাচ্ছিল ঈশানকে। দ্রুত রান করছিলেন তারা। ওপেনিং জুটিতে ৯০ রান ওঠে। অর্ধশতরান করেন ঈশান। তার পরেই বিপর্যয়।

৩৪ রানের মাথায় স্পিনার গুডাকেশ মোতির বলে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অফে আউট হন শুভমন। ৫ রান পরেই আউট হন ঈশান। ৫৫ রান করেন তিনি। রোমারিয়ো শেফার্ডের বলে পয়েন্টে শূন্যে শরীর ছুড়ে ক্যাচ ধরেন আলিক আথানেজ। তার পরে একের পর এক উইকেট পড়তে শুরু করে। ব্যর্থ দলের মিডল অর্ডার। সঞ্জু, অক্ষরকে আগে নামালেও রান পাননি তারা। অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্যও ৭ রান করে আউট হন। ১১৩ রানে ৫ উইকেট পড়ে যায় ভারতের।

দলের ইনিংসকে সামলানোর চেষ্টা করেন সূর্যকুমার যাদব, রবীন্দ্র জাডেজা ও শার্দূল। কিন্তু নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়ছিল। বার্বাডোজের পিচের অসমান বাউন্সে সমস্যায় পড়ছিলেন ভারতীয় ব্যাটারেরা। একই জায়গা থেকে বল কখনো হাঁটুর নিচে নামছিল। কখনো বুকের উচ্চতায় উঠছিল। সুযোগ কাজে লাগান ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারেরা। ভালো বল করেন মোতি ও শেফার্ড। শেষ পর্যন্ত ৪০.৫ ওভারে ১৮১ রানে অল আউট হয়ে যায় ভারত। মোতি ও শেফার্ড ৩টি করে, আলজারি জোসেফ ২টি এবং জেইডেন সিলস ও ইয়ানিক কারিয়া ১টি করে উইকেট নেন।

১৮১ রান করে জিততে হলে শুরুটা ভালো করার দরকার ছিল ভারতের। কিন্তু আদতে তার উল্টা হলো। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার কাইল মেয়ার্স ও ব্রেন্ডন কিং শুরুটা ভালো করেন। বিশেষ করে মেয়ার্স। ভারতীয় পেসারদের সামনে নিজের পরিচিত মেজাজে খেলছিলেন তিনি। ওপেনিং জুটিতে ৫০ রান হয়। প্রধান পেসারেরা উইকেট না পাওয়ায় শার্দূলের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক হার্দিক। তার পরেই ছবিটা বদলায়।

নিজের প্রথম ওভারেই জোড়া উইকেট নেন শার্দূল। দুই ওপেনারকে ফেরান তিনি। প্রথমে ৩৬ রানের মাথায় মেয়ার্স ও তার পরে ১৫ রানের মাথায় কিং আউট হন। গুড লেংথে বল করছিলেন শার্দূল। ফলে বলের বাউন্স অসমান হচ্ছিল। তাতেই বেকায়দায় পড়েন ব্যাটারেরা। নিজের তৃতীয় ওভারে আলিক আথানেজকেও ফেরান শার্দূল।

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চাপে পড়তে দেখে স্পিনারদের লেলিয়ে দেন হার্দিক। তাতে আরো সমস্যায় পড়ে ক্যারিবীয় দল। কুলদীপের বল বুঝতে না পেরে ৯ রানের মাথায় বোল্ড হয়ে ফেরেন শিমরন হেটমেয়ার। দেখে মনে হচ্ছিল, এই রান তাড়া করতে গিয়েই সমস্যায় পড়বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু সেখান থেকে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক হোপ।

এক দিকে সাবলীল ব্যাটিং করছিলেন তিনি। অযথা তাড়াহুড়া না করে সময় নিয়ে খেলছিলেন। তিনি জানতেন, লক্ষ্য খুব বেশি নয়। ফলে জুটি গড়ার দিকে নজর দেন। হোপকে সঙ্গ দেন কেসি কার্টি। তরুণ ক্রিকেটার হলেও বেশ দায়িত্ব নিয়ে খেললেন তিনি। অধিনায়কের সাথে দলের ইনিংসকে ধরলেন। দু’জনে ৫০ রানের জুটি গড়েন। ধীরে ধীরে লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছিলেন তারা।

নিজের আস্তিন থেকে সব তাস বের করেন হার্দিক। সাতজন বোলারকেই কাজে লাগান। মাঝে মাঝে তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ব্যাটারকে সমস্যাও ফেললেও উইকেট ফেলতে পারেননি। নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করেন হোপ। শেষ পর্যন্ত ৩৬.৪ ওভারে ৬ উইকেট বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হোপ ৬৩ ও কার্টি ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com