নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, ‘অনেকেই স্বপ্ন দেখছেন ক্ষমতায় চলে আসবেন। কিন্তু ক্ষমতায় তো অনেক দূরের কথা ক্ষমতার ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে আসতে পারবেন না।’
এ সময় তিনি বলেন, জাতিসঙ্ঘের অধীনে নির্বাচন চাওয়া লজ্জার বিষয়।
রোববার (৩০ জুলাই) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জ রেবতী মোহন পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, ‘আজকে লজ্জা লাগছে, যেই দেশ পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি রক্ত দিয়ে স্বাধীন হয়েছে সেই দেশকে বলা হচ্ছে জাতিসঙ্ঘের অধীনে নির্বাচন করার জন্য। এতে আমাদের মতো কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি খুশি হচ্ছে। যদিও এটা জীবনে কখনো হবে না। কারণ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।’
ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এ দেশের জন্য যে ত্রিশ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার কাছে আমরা কি জবাব দেব? কেউ রাজনীতি করে ইবাদত করার জন্য আর কেউ আসে নিজের সম্পদ বাড়ানোর জন্য। সামনে যে ষড়যন্ত্রটা হচ্ছে, আমি তোমাদের বলতে চাই না এই কারণে যে তোমাদের মাথায় কোনো লোড দিতে চাই না আমি। তবে একটা জিনিস মনে রাখবা এই দেশটাকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এমন জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে যেন এই দেশটাকে আফগানিস্তান ও সিরিয়ার চেয়েও খারাপ অবস্থানে নিয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু দেশটা রক্ষায় আমরা আমাদের জীবন দিয়ে চেষ্টা করবো। আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমরা লড়বো এবং জিতবো ইনশাআল্লাহ। অনেকেই স্বপ্ন দেখছেন রাতের আঁধারে ক্ষমতায় চলে আসবেন। কিন্তু ক্ষমতায় তো অনেক দূরের কথা ক্ষমতার ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে আসতে পারবেন না। এই বাজে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ কইরেন না। এই ১৪ বছর নারায়ণগঞ্জ অনেক শান্ত ছিল, কেউ অশান্তির সৃষ্টি করবেন না। আমরা শান্তি চাই।’
তিনি আরো বলেন, ‘সামনে তোমাদেরকেই সবকিছু করতে হবে। এই পৃথিবীতে কেউ কোনো কিছু করে দিবে না। তোমাদের জীবন মাত্র শুরু হয়েছে। সামনের দরজাটা খুব শক্ত, ওই দরজাটাকে লাথি মেরে তোমাদেরই ভাঙতে হবে। তোমাকে কিন্তু কেউ জায়গা করে দিবে না। এর জন্য তোমাদের দুটি জিনিস দরকার- একটা হচ্ছে মেধাগত শক্তি এবং অপরটি মানুষের দোয়া।’