নাটোরের লালপুরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের করে ধর্ষণের দায়ে সুমন আলী (১৯) নামে একজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং রফিকুল নামে আরেকজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিদের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা আদায় করে ভুক্তভোগীকে প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার বেলা সোয়া ১১টার দিকে আসামিদের উপস্থিতিতে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ আদেশ দেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (এসপিপি) আনিছুর রহমান বলেন, ‘নাটোরের লালপুর উপজেলার একটি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হন সুমন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ২০১৬ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় দলবল নিয়ে ওই ছাত্রীর বাড়িতে হানা দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে এবং দীর্ঘদিন তাকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন আসামিরা।’
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বেলিকে (১৫)উপজেলার পোকন্দা নিজ বাড়ি থেকে একই এলাকার সুমনসহ তার সহযোগিরা অপহরণ করে মাইক্রোবাসযোগে গোপালপুর অভিমুখে চলে যায়। এ ঘটনা জানার পরে সাথে সাথে বেলির পিতা বেলাল শিকদার সুমনের বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে ফেরত চায়। মেয়েকে ফেরত না পেয়ে পরের দিন সকালে আবার সুমনের বাড়িতে গেলে সুমনের পরিবারের লোকজন তাড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় ২০ ফেব্রুয়ারি বেলির পিতা বেলাল শিকদার লালপুর থানায় হাজির হয়ে সুমন ও রফিকুলসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে একটি এজাহার দায়ের করে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সুমনকে আটক করে।