শেষ রক্ষা হলো না ভারতের। রোমাঞ্চ ছড়িয়েও সিরিজ হাতছাড়া করল তারা। রোববার সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ৮ উইকেটে হেরে গেছে ক্যারিবীয়দের কাছে। বিপরীতে উত্তেজনা ছড়ালেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিরোপা জিতে নিয়েছে ৩-২ ব্যবধানে।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, তবে পরের দুই ম্যাচে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে ভারত। জয় পায় পরের দুই ম্যাচে। ফলে সিরিজে সমতা ফেরে, উভয় দলই সমান দুটি করে জয় পাওয়ায় শেষ ম্যাচটা রূপ নেয় অঘোষিত ফাইনালে।
শিরোপা নির্ধারণী পঞ্চম ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৬৫ করে ভারত। এক সূর্য কুমার যাদবের ব্যাটেই আসে ৪৫ বলে ৬১ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩ ওভার বাকি থাকতেই জয়ের বব্দরে পৌঁছায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যেখানে ব্যাট হাতে হার না মানা ৫৫ বলে ৮৫ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেন ব্রেন্ডন কিং। নিশ্চিত করেন দলের জয়।
১২ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর নিকোলাস পুরানকে নিয়ে ব্রেন্ডন কিং ১০৭ রান যোগ করেন দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে। ১৪তম ওভারে ১ চার ৪ ছক্কায় ৩৫ বলে ৪৭ করে আউট হন পুরান। তবে ততক্ষণে ফিফটি তুলে নেন কিং। এরপর শাইহোপের সাথে মিলে মাত্র ২৮ বলে ৫২* রান যোগ করেন কিং। ১৭তম ওভারে জয় তুলে নেয়ার কালে হোপ অপরাজিত ছিলেন ১৩ বলে ২২ রানে।
এর আগে মাত্র ৬ রানে ভাঙে ভারতের উদ্বোধনী জুটি। আগের ম্যাচেই রেকর্ড উদ্বোধনী জুটি গড়া দুই ওপেনার ছিলেন ব্যর্থ। শনিবার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলা যশস্বী জয়সাওয়াল রবিবার ফেরেন ৫ রান করে। আরেক ওপেনার শুভমান গিল আউট হন ৯ রান করে। ১৭ রানে ২ উইকেট হারায় ভারত।
এরপর সূর্যকুমার এবং তিলক ভার্মা মিলে তৃতীয় উইকেটে ৪৯ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। ভারতও খানিকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। যদিও তা দীর্ঘ হয়নি, অষ্টম ওভারে ১৮ বলে ২৭ রান করে আউট হয়ে যান তিলক ভার্মা। দ্রুত ফেরে সাঞ্জু স্যামসন, ১৩। তবে এরপর হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে ৩৯ বলে ৪৩ রান যোগ করেন সূর্য।
১৬.২ ওভারে ১৩০ রানে ৫ উইকেট হারায় ভারত। ১৮ বলে ১৪ করে ফেরেন হার্দিক। এরপর ৩১ রান তুলতে আরো ৪ উইকেট হারায় ভারত। যেখানে অক্ষর প্যাটেলের ১৩ ছাড়া বলার কিছু নাই। সূর্য আউট হন ১৮তম ওভারে, ৪৫ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলে। ৯ উইকেটে ১৬৫ রানে থামে ভারত।