আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, একদিকে হত্যাকাণ্ড, অন্যদিকে মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ। বোঝানো হয়েছিল, এটি একটি পরিবারকেন্দ্রিক হত্যাকাণ্ড। আড়াই মাস পরে জেলহত্যায় স্পষ্ট হয়ে যায় ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ছিল জাতি ও জাতিসত্তার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। এটি একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, হত্যাকাণ্ডের বেনিফিসিয়ারি হলো একাত্তরের পরাজিত শক্তি। জিয়াউর রহমান এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড। হত্যাকারীদের পুনর্বাসন করা, সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তন, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ তার পরিচয় বহন করে। পরবর্তীতে সে ধারাবাহিকতা ধরে রাখে খালেদা জিয়া। ১৯ বার শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করে। হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের সূচনা হয় পচাত্তরে।
চলমান রাজনৈতিক প্রসঙ্গে ১৪ দলের মুখপাত্র বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনার অর্জন। আদালতের রায়ে, সংবিধানে একে বাতিল করা হয়েছিল। কেউ নির্বাচনে না আসলে, অন্য কেউ জিতলে এটা বিজিত দলের কোনো অন্যায় হতে পারে না।
তিনি বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে, আত্মনির্ভরশীল দেশ গড়তে, শেখ হাসিনার অনেক অবদান রয়েছে। তার নেতৃত্বের এই সফলতা অনেকের গাত্রদাহের কারণ বলেই গণতন্ত্রের নামে আন্দোলন করছে। মাঠের আন্দোলন আওয়ামী লীগ ভয় পায় না। যারা ভয় পায়, তারা বিদেশিদের ওপর ভর করে ক্ষমতায় যাওয়ার পায়তারা করে যাচ্ছে। কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে তাদের সব দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের জবাব দেওয়া হবে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘এই জাতিকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে ৯ মাসের মাথায় শাসনতন্ত্র দিতে পেরেছিলেন বঙ্গবন্ধু। এটা বিশ্বে একটি অনন্য অবদান। সোনার বাংলার অসাম্প্রদায়িক অর্থনীতি গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। সময় পেলেন না। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আরও অনেক গবেষণার দরকার রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘হত্যার আগে দেশ অস্থিরতা তৈরি করা হয়েছিল। আজকের বাংলাদেশে হুবহু তারই অবস্থা দেখা যাচ্ছে। সেই ধরনের অবস্থান তৈরিতে সক্রিয়। মনে হচ্ছে, একটা কঠিন সময় আসছে। সবাইকে সর্তক থাকতে হবে। অপপ্রচারে শত শত বাসন্তী গল্প তৈরি হচ্ছে। দুর্বলতা কোথায়, খুঁজে বের করতে হবে। পচাত্তরের পুনরাবৃত্তি আর চাই না।’
আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মেমেন ও ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর অ্যাম্বাসেডর মাশফি বিনতে শামস্।