বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় বিপৎসীমার আট সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে বুধবার বিকেল ৬টায় যমুনার পানি বিপৎসীমার তিন সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসনাপাড়া স্পার হুমকির মুখে পড়েছে। শক্তিশালী স্পারের স্যাংক দেবে যাওয়ায় ওই এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে বুধবার বিনিদ্র রাত কটিয়েছে। স্পার ভেঙে গেলে পাশে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণএলাকা প্লাবিত হয়ে পড়বে। গৃহহারা হয়ে পড়বে হাজার হাজার মানুষ।
পাউবো বগুড়ার উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ন কবির জানান, হাসনা পাড়া স্পারে ভাঙন দেখে দিয়েছে। স্পারের তলদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৬৫ ফুট মাটির স্য্যংক দেবে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সারারাত জেগে হাসনাপাড়া স্পার রক্ষায় কাজ করেছে। স্পারের দেবে যাওয়া অংশ মেরামত চলমান আছে- এমনটি জানান পাউবো‘র এই কর্মকর্তা।
এ দিকে হাসনাপাড়ার স্পারের পাশে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অপর পাড়ের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে আবারো বগুড়া জেলা প্রশাসক মো: সাইফুল ইসলাম ও জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী স্পার পরিদর্শন করেছেন।
অপরদিকে উজানের ঢলে সারিয়াকান্দির চরাঞ্চলের চারটি ইউনিয়ন বোহাইল, কাজলা, কর্নিবাড়ি ও চালুয়াবাড়ি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অপরদিকে যমুনার ভাঙনে কামালপুর অংশে মেরামত কাজ চলমান রয়েছে বলে জানান পাউবো কর্মকর্তারা।
সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, যমুনার পানি বৃদ্ধি পওয়ার ফলে ১৫ হেক্টর আমন (স্থানীয় জাতের গাইঞ্জা ধান), দুই হেক্টর বীজতলা ও এক হেক্টর সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। যমুনায় পানি আরো বাড়তে পারে বলে জানান পাউবো কর্মকর্তা।
সূত্র : বাসস