করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে ঢাকা ১০ আসনে উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ আসনে ১১৭টি ভোটকেন্দ্র।
আর ভোটকক্ষের সংখ্যা ৭৭৬টি। এই আসনের মোট ভোটার তিন লাখ ১২ হাজার ২৮১ জন।
এই নির্বাচনে ছয়জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার মধ্যে, আওয়ামী লীগ থেকে শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিএনপির শেখ রবিউল আলম, জাতীয় পার্টির হাজী মো. শাহজাহান, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের কাজী মুহাম্মদ আবদুর রহিম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের নবাব খাজা আলী হাসান আসকারী এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. মিজানুর রহমান।
আসনটিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
উপনির্বাচনের শুরুতেই বিএনপির এজেন্টদের কেন্দ্রে প্রবেশে বাঁধা দেয়া হয়েছে। কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ বিএনপি নেতাকর্মীদের।
সকাল ১০টায় ধানমন্ডির লেক সার্কাস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ভোট প্রদান করার কথা রয়েছে। তবে এই কেন্দ্রে এখন তেমন ভোটার দেখা যাচ্ছে না। সকাল ৯টা থেকে এখন পর্যন্ত কয়েকজন ভোট দিতে এসেছেন।
তাদের একজন বলেন, ‘বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমার কর্তব্য ভোট দেয়া। করানোর জন্য ভয় করলে তো চলবে না।’
তবে করোনার বিস্তারের জন্য ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের তেমন উপস্থিতিও নেই। ভোট কেন্দ্রের বাইরে কোনো জনসমাগমও দেখা যাচ্ছে না। ধানমন্ডি লেক সার্কাস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে শুধু আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সহায়তা কেন্দ্র রয়েছে।
করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় প্রতিটি নির্বাচনী কক্ষে একটি করে নির্দেশনামূলক ফেস্টুন, প্রতিটি বুথের জন্য একটি করে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও টিস্যুর প্যাকেট রয়েছে। কক্ষের প্রত্যেকটি পোলিং এজেন্ট ও এজেন্টদের হাতে গ্লাভস রয়েছে এবং তাদের প্রত্যেককেই মাক্স ব্যবহার করছেন।