ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১০ বছর পর ওয়ানডে সিরিজ খেলতে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। এই সিরিজ দিয়ে দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন ঘটছে তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লিটন দাসের চাওয়া অভিজ্ঞ এই দুই ক্রিকেটার থেকে নির্ভার পারফরম্যান্স।
আগামীকাল মিরপুরে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডকে আতিথ্য দেবে বাংলাদেশ। নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে সিরিজে নেতৃত্ব দেবেন লিটন দাস। মাঠে নামার আগে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনেও আসেন এই অধিনায়ক।
বুধবার সংবাদ সম্মেলনে নানা বিষয়েই প্রশ্ন-উত্তর পর্ব চলে লিটন দাসের সাথে। যেখানে জানতে চাওয়া হয়, দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা তামিম-মাহমুদউল্লাহর ভূমিকা কি হবে সিরিজে? একই প্রশ্ন ছিল প্রায় দুই বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা আরেক ক্রিকেটার সৌম্য সরকারকে নিয়েও।
লিটনের স্পষ্ট উত্তর, “দু’জন সিনিয়র প্লেয়ার থাকলে সব সময়ই সহায়তা হয়। তারা অনেক দিন পর এসেছেন। আমি চাই না কোনো কিছু নিয়ে চাপ দিতে। ওনারা খেলাটা উপভোগ করুন। আমার মনে হয়, বাংলাদেশের প্রতিটি খেলোয়াড় যদি উপভোগ করে, তাহলে সফল হওয়ার সুযোগটা বেশি থাকে।”
আরো বলেন, ‘ভূমিকা জিনিসটা নিয়ে আমি আসলে বলতে চাই না। এটা আসলে পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। যদি দ্রুত উইকেট পড়ে যায়, এরপর যদি রিয়াদ ভাই ব্যাটিংয়ে আসে, ৩০-৩৫ ওভারের খেলা থাকে, তাহলে উনি ওনার মতো করেই খেলবেন। কী করতে হবে তা বলার দরকার নেই, উনি অনেক ম্যাচিউরড।’
লিটন এরপর যোগ করেন, ‘এটা সৌম্যর ক্ষেত্রেও। যেখানে সুযোগ পাবে তারা রান করার চেষ্টা করবে। আসলে শুধু তারা দু’জন না, প্রত্যেক ব্যাটসম্যানের কাজ রান করা।’
রান করা ব্যাটারদের কাজ স্বীকার করে নিলেও গত কয়েক মাস যাবত রানে নেই স্বয়ং লিটন দাস। গত বছর থেকে ছন্দ হারিয়ে ধুঁকছেন তিনি, ভুগছেন রান খরায়। যা নিয়েও সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন ছিল তার কাছে। প্রশ্ন ছিল আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি আছে কি না তার মাঝে?
লিটনের উত্তর, ‘আমি চেষ্টা করছি, প্র্যাকটিস করছি, কিভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়। আশা করছি, তাড়াতাড়ি কামব্যাক করতে পারব। এখানে আত্মবিশ্বাসের বিষয় না। প্র্যাকটিস করছি, দেখা যাক কী করতে পারি।’
’একদিনে সবাই পারফর্ম করবে না, হয়তো দু-একজন করবে। এটাই ক্রিকেট, এটাই হয়ে আসছে, এটাই হবে।’