টানা ব্যাটিং ব্যর্থতার নজির গড়ে চলছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ এশিয়া কাপে বেশিরভাগ ম্যাচেই খেলতে পারেনি পুরো ৫০ ওভার। সেই ধারা অব্যাহত আছে চলমান নিউজিল্যান্ড সিরিজেও। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তাও ৪০ ওভার পার করতে পেরেছে, তৃতীয় ওয়ানডেতে খেলতে পারল না ৩৫ ওভারও।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৩৪ ওভার ৩ বলেই মাত্র ১৭১ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে একাই ৭৬ রান করেছেন এই ম্যাচেই প্রথম ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত।
আজ মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল দুইটায় ম্যাচটি শুরু হয়। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত। তবে শুরুতেই সেই চেনা বিপর্যয়। তিন ওভারের মধ্যে দুই ওপেনার ফিরে যান। দ্বিতীয় ওভারে অভিষিক্ত জাকির হাসান (১) অ্যাডাম মিলনের বলে বোল্ড হন। এরপর তৃতীয় ওভারে ট্রেন্ট বোল্টের বলে তানজিদ হাসান (৫) স্লিপে থাকা ফিন অ্যালেনকে ক্যাচ দেন।
চারে ব্যাট করতে নেমে ইতিবাচক শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়। ১৭ বলে ১৮ রান করেই মিলনের বলে ক্যাচ উঠিয়ে দেন। ৩৫ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে দল যখন বিপদে, তখন হাল ধরেন শান্ত ও অভিজ্ঞ মুশফিক। ৮৮ রানের মাথায় দুর্ভাগ্যজনকভাবে আউট হয়ে ফেরেন মুশফিক। এরপর মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে ৪৯ রানের জুটি গড়েন শান্ত। তবে ১৩৭ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২১ রানে ফেরেন মাহমুদউল্লাহও। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি শেখ মেহেদীও। তবে দীর্ঘক্ষণ লড়াই চালিয়ে ১৬৮ রানের মাথায় সপ্তম ব্যাটার হিসেবে বিদায় নেন শান্তও। ৮৪ বলে ১০ চারে ৭৬ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন তিনি। অভিষেক ওয়ানডেতে কোনো বাংলাদেশি অধিনায়কের সর্বোচ্চ রান এটি।
শান্তর বিদায়ের পর আর টিকতে পারেননি কোনো ব্যাটার। দলের সঙ্গে আর ৩ রান যোগ হতেই একে একে ফিরে যান নাসুম আহমেদ, হাসান মাহমুদ এবং শরিফুল ইসলাম। ৬ ওভার ৩ বলে ৩৪ রান খরচায় ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন কিউই পেসার অ্যাডাম মিলনে। দুইটি উইকেট নিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট এবং কোলে ম্যাককোনি।