অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সবার মাতামাতিকে ‘সন্দেহজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশের যে উন্নতি হয়েছে তা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরই হয়েছে।
জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশগ্রহণ এবং যুক্তরাজ্য সফরের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা নিয়মতান্ত্রিকতার মধ্যে এসে দেশটা যখন অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তখন হঠাৎ অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সবার এত মাতামাতি কেন? সন্দেহ হয় রে…। এটাই বলতে হয়, সন্দেহ হয় রে…। আসল কথা নির্বাচনটাকে বানচাল করে দেয়া। যারা জানে, নির্বাচনে ভোট পাবে না তারা সব জায়গায় গিয়ে ধর্না দিয়ে বেড়াচ্ছে। কারণ, তাদের তো কোটি কোটি টাকা। ক্ষমতায় থাকাকালে এতো বেশি টাকার মারিল হয়ে গেছে তারা, অবাধে সেই টাকা খরচ করে যাচ্ছে। এর সাথে আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে বাস্তব অবস্থাটা বোঝে কিনা আমি জানি না, কিন্তু তারা এই একই কথা, ভাঙা রেকর্ড বাজিয়েই যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের তো ভোট চুরি করা লাগে না। আমাদের তো মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেয়। আমরা কাজের মাধ্যমে মানুষের আস্থা অর্জন করি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫-৯৬, ২০০১-০৮ এই ২৯ বছর যারা ক্ষমতায় ছিল তারা দেশকে কি দিয়েছে? মানুষের ভাতের ব্যবস্থা করতে পেরেছে, পারেনি; দুর্ভিক্ষ ছিল। সব সময় উত্তরবঙ্গে দুর্ভিক্ষ লেগে থাকত, দক্ষিণেও। মানুষ তখন এক বেলা খাবার জোটাতে পারত না। ছেঁড়া কাপড় পরে থাকত, বিদেশ থেকে পুরাতন কাপড় এনে পরানো হতো। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পুষ্টিহীনতা প্রতিনিয়তই ছিল।’
তিনি আরো বলেন, ‘আজ বাংলাদেশের মানুষ যতটুকু পাচ্ছে, সেটা আওয়ামী লীগ এবং আমরা ক্ষমতায় আসার পর উন্নতিটা হচ্ছে। এখন এত প্রশ্ন আসে কেন, সেটাই আমার কথা। এখন একটা দেশ এত দ্রুত উন্নতি করেছে, সেটাই মানুষের মাথাব্যথা হয়ে গেল কি না। সেটাকে এখন কীভাবে নষ্ট করা যায়, এই সন্দেহটা আমারও আছে।’