নুডলস খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। কেননা নুডলস একটি সুস্বাদু খাবার এবং খুব সহজেই এটি রান্না করা যায়।
নুডলস রান্না করা খুবই সহজ এবং সময় কম লাগে বলে অনেকই এই খাবার পছন্দ করে থাকেন।
বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নুডলস। খেতেই কেবল সুস্বাদু নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর নুডলস। তবে নুডলস এমন একটি খাবার, যেটি বিশ্বের সব দেশের মানুষই কাঁটাচামচ বা কাঠিতে করে মুখের ভেতর পুরে ফেলে। নানা স্বাদের, আকৃতির নুডলস নানা প্রক্রিয়ায় রান্না হয়। আসুন নুডলস সর্ম্পকে মজার কিছু তথ্য জেনে নিই:
1. খ্রিষ্টের জন্মের ২ হাজার বছর আগে থেকে চীনে নুডলস খাওয়া হয়। তবে তখন এখনকার মতো এমন নুডলস ছিল না। আটার দলা ছোট ছোট করে ছিঁড়ে রোদে শুকিয়ে পানিতে ফুটিয়ে খাওয়া হতো নুডলস।
2. ১৯৫৮ সালে জাপানে ‘ইনস্ট্যান্ট নুডলস’ হিসেবে রামেনের প্রচলন শুরু হয় সর্বপ্রথম। ১৯৫৮ সালে জাপানের মোমোফুকু অন্দো প্রথম চিকেন ইনস্ট্যান্ট নুডুলস তৈরি করেন। যা খুব সহজে রান্না করা যায়।
3. জাপানের ওসাকায় ইনস্ট্যান্ট কাপ নুডলসের একটি আস্ত জাদুঘরই রয়েছে। এটিকে বলা হয় ‘দ্য কাপ নুডুলস মিউজিয়াম’। এখানে ৫,৪৬০টি ফ্লেভারের নুডলস পাওয়া যায়।
4. মোমোফুকু অন্দো মহাকাশে খাওয়ার জন্য ২০০৫ সালে এক ধরনের ইনস্ট্যান্ট নুডলস তৈরি করেন তার মৃত্যুর দুই বছর পূর্বে। এটার নাম ছিলো ‘স্পেইস রাম’।
5. ম্যাগি ব্র্যান্ডের উৎপত্তি সুইজারল্যান্ডে। ১৮৮৪ সালে সুইস উদ্যোক্তা জুলিয়াস ম্যাগির হাত ধরে বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ডটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্যস্ত, কর্মজীবী পরিবারের জন্য সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর খাবার দ্রুত তৈরি করার ইচ্ছা থেকেই শুরু হয় ম্যাগির পথচলা।
6. ফেডারেল আইন অনুসারে, নুডলসে অবশ্যই ৫.৫ শতাংশ ডিমের সলিড অংশ থাকতে হবে।
7. পৃথিবীর সবচেয়ে সস্তা খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম ধরা হয় নুডলসকে। তবে প্রথম দিকে এটি বিলাসবহুল খাবার হিসেবে সুপার শপে বিক্রি হতো।