ভারত বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পাশাপাশি আরও একজন দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন। তিনি বাংলাদেশি আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। তাকে নিয়ে আবেগঘন একটি বার্তা দিয়েছেন ইনজুরির কারণে জাতীয় দলের বাইরে থাকা দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল।
বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তামিম লিখেছেন— ‘এবারের বিশ্বকাপে শুধু বাংলাদেশ দলই নয়, শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত ভাইও আমাদের একজন উজ্জ্বল প্রতিনিধি। দেশের প্রথম আম্পায়ার হিসেবে বিশ্বকাপে ম্যাচ পরিচালনা করছেন তিনি, বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য এটি অনেক বড় ব্যাপার।’
তিনি লেখেন— ‘বাংলাদেশে আম্পায়ারিং একটি প্রশংসাহীন কাজ। সেই দেশের একজন আম্পায়ার বিশ্বমঞ্চে জায়গা করে নিয়েছেন নিজের যোগ্যতা, নিষ্ঠা ও দীর্ঘদিনের কঠোর অধ্যবসায় দিয়ে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্যও এটি গর্বের ব্যাপার। বেশ কয়েকটি ম্যাচে মাঠের আম্পায়ার হিসেবে ম্যাচ পরিচালনা করছেন তিনি, থাকছেন চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবেও।’
তিনি আরও লেখেন— ‘নানা বাস্তবতার কারণে আমাদের দেশের কোনো আম্পায়ার এখন পর্যন্ত এলিট প্যানেলে জায়গা করে নিতে পারেননি। তার পরও সৈকত ভাই একটু একটু করে লড়াই করে নিজেকে যে উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও যেভাবে আজকের এই অবস্থানে নিয়ে গেছেন, দেশের অনেক আম্পায়ারের জন্য তা নিঃসন্দেহে দারুণ অনুপ্রেরণার। অনেকেই এখন আম্পায়ারিংকে পেশা হিসেবে নেওয়ার কথা আরও বেশি গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে পারবে।’
শেষে সৈকতসহ দেশের আম্পায়ারদের জন্য শুভকামনাও জানিয়েছেন তামিম, ‘অভিনন্দন সৈকত ভাই। আমাদের দেশের ক্রিকেটের মতো দেশের আম্পায়ারিংও এগিয়ে যাক আরও।’
চলতি বিশ্বকাপের চতুর্থ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলংকা মুখোমুখি হয়েছিল। সেই ম্যাচে ফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশের সৈকত। যেখানে এলবিডব্লিউর সফল একটি সিদ্ধান্তও দেন তিনি। তার বিপক্ষে রিভিউ নিয়ে ব্যর্থ হন প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। দেশের হয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের দায়িত্ব পাওয়া সৈকতের ভূমিকা মাঠে আরও নিখুঁত হয়ে উঠুক, সেটিই চাওয়া দেশের ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের।