মহাসমাবেশে সংঘর্ষের পর রোববার ভোর রাত থেকে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তারে বাসায় বাসায় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। সকাল সাড়ে ৯টায় গুলশানের বাসভবন থেকে আটক করা হয় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে। এর আগে ভোর ৪টায় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে আটক করার জন্য তার শাহজাহানপুরের বাসা ঘিরে ফেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ভোর ৬টার সময় তার বাসার ভিতর অভিযান চালালে তাকে বাসায় পাওয়া যায়নি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মির্জা আব্বাসের বাসা পুলিশ ঘেরাও করে রেখেছে।
ভোর ৫টার সময় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আটক করার জন্য তার বনানীর বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। আমির খসরু বাসায় না থাকায় তাকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
এদিন বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের ছেলের লালমাটিয়ার বাসায় সকালে তল্লাশি চালায় ডিবি পুলিশ। আলালকে না পেয়ে বাসার প্রতিটি রুম তল্লাশি চালায় তারা। এরপর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তার বনানীর বাসায় যায় ডিবি পুলিশ। দুপুর ১২টার দিকে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল জানান, লালমাটিয়ার পর এখন তার বনানীর বাসায় ১৪/১৫ জন ডিবি পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছেন। প্রতিটি রুম তছনছ করা হচ্ছে।
এছাড়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক আব্দুস সালামের শান্তিনগরের বাসভবন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হকের পল্লবীর বাসভবন এবং যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর বাসভবনে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের গুলশানের বাসভবনে গোয়েন্দা বিভাগের অভিযান চালানো হয়।